“১০১ প্রেমের গল্প” বই এর কিছু লেখা
“প্রেম”। ছোট্ট দু অক্ষরের শব্দ। কিন্তু এর ব্যাপ্তি বিশাল। সৃষ্টির আদি যুগ থেকে আজ পর্যন্ত এর কোনও বিনাশ নেই। সময়ের সাথে সাথে যতই আমরা সভ্য হই, যতই আমরা আধুনিক হই, যতই আমরা যন্ত্রের হাতে নিজেদের সঁপে দিই—প্রেম কিন্তু আমাদের জীবন থেকে উড়ে যায়নি, যাবেও না, যেদিন জীবনে প্রেম থাকবে না, ধরে নেব মানব সভ্যতার ‘শেষের সে দিন’। প্রেম চিরকালীন। আদম আর ইভ নিশ্চয়ই একে অন্যের প্রেমে পড়েছিলেন। রাধা কৃষ্ণের প্রেমের গল্পে তো মাতোয়ারা সারা পৃথিবীই, শূর্পণখাও তো প্ৰেম নিবেদন করেছিল লক্ষ্মণকে। ভীম-হিড়িম্বা, অর্জুন- চিত্রাঙ্গদার প্রেম কাহিনি কি কম আকর্ষক? আধুনিক যুগের বহু জননেতা, কবি-সাহিত্যিক (চিত্রতারকাদের কথা ছেড়েই দিলাম) -দের বহু বিখ্যাত প্রেম কথা তো শোনা যায় অহরহই। সাহিত্য, চলচিত্র নাটকের অন্যতম প্রধান বিষয় প্রেম, বাংলা সাহিত্যে প্রেম এসেছে বঙ্কিমচন্দ্রের হাত ধরে। যে প্রেম পরিণত হয়েছে রবীন্দ্রনাথের কলমে, এর পরে বাংলা সাহিত্যে হেন কোনও সাহিত্যিক নেই যাঁদের সৃষ্টিতে উঠে আসেনি প্ৰেম। প্রেম মানে কি শুধুই সুখ? না। প্রেম এবং বিরহ চিরকালই হাত ধরাধরি করে চলে এসেছে। বহু প্রেমেরই পরিণতি হয়েছে বিরহে। সাহিত্যে বিরহের গল্পই হয়তো বেশি সমাদৃত হয়েছে। কেননা সফল প্রেম কাহিনি অনেকের কাছেই মনে হতে পারে ‘ইচ্ছাপূরণের গল্প’ এছাড়াও রয়েছে পরকীয়া প্ৰেম, সুখী দাম্পত্য প্রেমের গল্পের কদর নেই পাঠকের কাছে। বরং নিষিদ্ধ পরকীয়া গল্পে সহজেই মজে যায় সাহিত্য রসিকের মন ।