রাসূল সা. যেমন সন্মানিত উম্মতে মুসলিমিনের কাছে, তেমনি তাঁর পরিবারবর্গও সন্মানিত। যাদেরকে আহলে বাইত বলা হয়। নবুয়তি জীবনে তারা প্রিয়নবী সা. কে অনেক সহযোগিতা করেছেন। রাসূল সা. যখন হেরা গুহায় ধ্যানরত থাকতেন তখন খাদিজা রা. খাবার দিয়ে আসতেন। উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা রা. বলেন, রাসূল সা. ওহির আয়াত পড়তে পড়তে বাড়িতে যখন এলেন, তখনও তিনি কাঁপছিলেন। গৃহে এসে খাদিজা রা. কে বললেন, আমাকে কম্বল দিয়ে ঢেকে দাও। আমি জীবনের আশংকা বোধ করছি। তখন খাদিজা রা. বললেন আল্লাহর শপথ ! তিনি কখনো আপনাকে লাঞ্চিত করবেন না। কারণ আপনি আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করেন, সর্বদা সত্যকথা বলেন, অক্ষম লোকদের বোঝা বহন করেন, গরিব ও নিঃস্বদের দান করেন, মেহমানদের আপ্যায়ন করেন এবং বিপদগ্রস্তদের সাহায্য করেন। বিশিষ্ট সাহাবি আবু সালামাহ ইবনে আব্দির রহমান ইবনে আওফ রা. বলেন, আয়েশার চেয়ে সুন্নাতে নববির বড় আলিম, দিন দীনের সূক্ষতত্ত্বে বিশেষগ্ কুরআন মাজিদের আয়াতের শানে নুজুল এবং ফারায়েজ সম্পর্কে বেশি গ্জানের অধিকারি আর কাউকে দেখিনি। রাসূল সা. তাঁর কন্যাদের মর্যাদা সম্পর্কে ইরশাদ করেন, ফাতিমা আমার দেহের অংশ। যে তাকে ব্যথা দেবে সে যেন আমাকেই ব্যথা দেবে। বক্ষমাণ গ্রন্থটিতে তাদেরই জীবনচরিত আলোচনা করা হয়েছে। যা আহলে বাইতদের সম্পর্কে জানতে সহায়তা করবে।