আমি সেই বাংলায় কথা বলি,
মো. শামীম হোসেন
আমি সেই বাংলায় কথা বলি।
যেই বাংলা জন্মেছে খ্রিষ্টীয় দশম শতকের—
কাছাকাছি, মাগধী প্রকৃত হতে ধীরে ধীরে,
যেই বাংলা বৈদিক হতে সপ্তম শতাব্দী —-
অতিক্রম করে ছড়িয়েছে ভূবিশ্বের অলিগলি।
হ্যাঁ হ্যাঁ, আমি সেই বাংলায় কথা বলি।
লুইপা’র হাতে ধরে চর্যাপদের নানান শ্লোকে —
এসেছে ঈশ্বরচন্দ্র, সুকান্ত আর রজনীকান্ত,
এসেছে রবীন্দ্র, নজরুল,বঙ্কিমচন্দ্রের মতো কবি,
হ্যাঁ হ্যাঁ, আমি সেই বাংলায় কথা বলি
যেই বাংলায় কথা বলে বিনয়, দীনেশ আর —
বিপিন বিহারী পাল, এই বিশ্বকে করে উত্তাল
শত প্রফুল্ল, সত্যেন, জগদীশ আর জয়নুল
এই বাংলায় ফুটিয়েছে বিশ্ব বিজয়ের ফুল।
তাইতো আমরা আজ সিংহের মতো চলি,
হ্যাঁ হ্যাঁ, আমি সেই বাংলায় কথা বলি।
রাজপথে তাজা রক্তে যেই বাংলা হয়েছে কেনা,
সেই বাংলায় হাসে,ফাঁসিকাষ্টে মাষ্টারদা সূর্য্যসেন
ক্ষুদিরাম আর প্রীতিলতার মতো সাহসীসেনা।
হ্যাঁ হ্যাঁ আমি সেই বাংলায় কথা বলি।
সেই বাংলায় শত নারী কলম ধরেছে হাতে,
জন্ম দিয়েছে সাহসী মুজিবের মতো অমর সন্তান,
যার তেজস্বী শ্লোগানে সমাবেত হয়েছিল লক্ষ জনতা-
জন্ম দিয়েছে স্বাধীন সোনার বাংলাদেশ।
গায়ে মেখে জল কাদা আর রক্তাক্ত জমির পলি,
হ্যাঁ হ্যাঁ, আমি সেই বাংলায় কথা বলি।
আরো কত ইতিহাস, জানা অজানা রয়েছে মিশে,
এই বাংলা ভাষার প্রতিটি বর্ণের অন্তরালে,
হয়তো সেসব আর প্রকাশ হবে না কোনো কালে।