বাঙ্গালার ইতিহাস (২য় খণ্ড)

৳ 300.00

লেখক রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রকাশক বইপত্র
আইএসবিএন
(ISBN)
9789848116377
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ২২৬
সংস্কার 1st Published, 2013
দেশ বাংলাদেশ

“বাঙ্গালার ইতিহাস (২য় খণ্ড)” বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ
বাঙ্গালার ইতিহাস এই কয়দিনে একরূপ পড়িয়াছি, আমার এ অবস্থায় নূতন বই পড়ার যেরূপ প্রথা দাঁড়াইয়াছে তার চেয়ে ভালই পড়িয়াছি। প্রথম ভাগ পূৰ্ব্বে পড়িয়াছিলাম, দ্বিতীয় ভাগ পড়িয়া সেইরূপ আনন্দ পাইলাম । কেবল আনন্দ কেন, অনেক নূতন কথা শিখিলাম। বাঙ্গালার ইতিহাসের পাঠান আমলের কথা সে কালের স্টুয়ার্ট ও লেথব্রিজের বহি হইতে যৎকিঞ্চিৎ জানিতাম। এ দিকে নূতন কি বাহির হইয়াছে তাহার কোনও খবর রাখি নাই । এই বহি হইতে সে সকল কথা জানিয়া শিখিলাম, এ জন্য তোমাকে গুরু বলিয়া কৃতজ্ঞতা স্বীকার করিতে গেলে যদি তােমার অকল্যাণ বােধ কর, তাহাতে ক্ষান্ত থাকিলাম…বাঙ্গালার ইতিহাস তােমার পাণ্ডিত্যের ও প্রতিভার উপযােগী হইয়াছে। বাঙ্গালা সাহিত্যও তােমার। নিকট ঋণী হইল, কেন না এখন হইতে বাঙ্গালার ইতিহাস জানিতে হইলে বিদেশী পণ্ডিতদেরও এই বাঙ্গালা বহি আশ্রয় করিতে হইবে।

রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৮৬-১৯৩০) ॥ জন্ম: বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ, ১৮৮৬। ঐতিহাসিক ও পুরাতাত্ত্বিক ধনাঢ্য পরিবারে জন্ম বহরমপুর । আদালতের আইনজীবী মতিলাল বন্দ্যোপাধ্যায় তার পিতা ফাস্ট আর্টক্লাসে অধ্যয়নকালে পিতৃ-মাতৃহীন হন। বহরমপুর কলেজিয়েট স্কুল থেকে বৃত্তিসহ এন্ট্রান্স পাস (১৯০০)। অতঃপর কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি। এ কলেজ থেকে ১৯০৩এএফএ, ১৯০৭-এ ইতিহাসে অনার্সসহ বিএ ও ১৯১০-এ এমএ (ইতিহাস) ডিগ্রিলাভ। এমএ পরীক্ষা দেয়ার পূর্বেই কলকাতা মিউজিয়ামে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগে সহকারী অধ্যক্ষ পদে চাকরি লাভ। ১৯১১-তে সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট ও ১৯১৭-তে সুপারিনটেনডেন্ট পদে উন্নীত অফিস পরিচালনা। সংক্রান্ত ব্যাপারে সরকাষের সঙ্গে মতবিরােধ ঘটলে চাকরিচ্যুত (১৯২৬)। ১৯২এ কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে মনীন্দ্রচন্দ্র নন্দী’ অধ্যাপক নিযুক্ত। মহেঞ্জোদারােতে অতি প্রাচীন যুগের সভ্যতার (সিন্ধু সভ্যতা) নিদর্শন আবিষ্কার (১৯১৭) তাঁর সরকারি কর্মজীবনের প্রধান কার্তি। এখানকার ধ্বংসাবশেষ যে প্রাগৈতিহাসিক যুগের সভ্যতার নিদর্শন তার প্রমাণ কর্তৃক প্রথম উপস্থাপন । মহেঞ্জোদারােতে খননকার্য (১৯২২-১৯২৩) চালিয়ে যেসব পুরাবস্তু তিনি আবিষ্কার করেন সেগুলাের ওপর গবেষণা করে পণ্ডিতবর্গ সিদ্ধান্তে আসেন যে সিন্ধু সভ্যতা তাম। প্রস্তর যুগের অর্থাৎ ৫ হাজার বছরের পুরাতন সভ্যতা। কনিষ্ক ও পাল রাজাদের সম্পর্কেও বহু প্রামাণ্য তথ্যের আবিষ্কার পাহাড়পুরের খননকার্যেরও পরিচালক। পুরাতত্ত্বের ন্যায় মুদ্রাতত্ত্বেও অগাধ জ্ঞানের অধিকারী। তাঁর প্রাচীন মুদ্রা' (১৩২২) গ্রন্থটি বাংলায় রচিত মুদ্রাসম্পর্কিত প্রথম গ্রন্থ। ইতিহাসের গবেষণায় অসাধারণ পাণ্ডিত্যের পরিচয় প্রদান। 'বাঙ্গালার ইতিহাস' (১ম ভাগ-১৩১১ ও ২য় ভাগ-১৩২৪) রচনা করে প্রভূত খ্যাতি অর্জন । অপরাপর ঐতিহাসিক গ্রন্থ : ‘পালস অভ বেঙ্গল’ (১৯১৩), দি অরিজিন অভ বেঙ্গলি স্ক্রিপ্ট' (১৯১৯), হিস্ট্রি অভ ওড়িষ্যা' (১৯৩০)। করুণা’, ‘ধর্মপাল’ ও শশাঙ্ক’ নামক ঐতিহাসিক উপন্যাসের রচয়িতা। মৃত্যু ১৯৩০।


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন →
বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ