“সূর্যাস্তের আগে” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
দিবাকর লাহিড়ি, মণিময় সরকার এবং শুভেন্দু বসু—এঁরা সমবয়সী নন। তিনজনের কর্মক্ষেত্রও ছিল আলাদা আলাদা। দিবাকর ছিলেন সেনাবাহিনীর কর্নেল, মণিময় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ইঞ্জিনিয়ার, শুভেন্দু ব্যাঙ্ক-অফিসার। কিন্তু এক জায়গায় এঁদের খুব মিল। তিনজনই দুরারােগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত। চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের আয়ু আর মাত্র ছ’মাস। জীবনের এই অন্তিম পর্বে হঠাৎ তাঁদের মনে হয়, এতদিন তাঁরা ছিলেন আত্মকেন্দ্রিক, নিজেদের ছাড়া অন্য কোনও দিকে তাকান নি। অথচ কত কিছুই তাে দেখার বা করার ছিল। মাত্র ছ’টি মাস তাঁদের হাতে। যে চিকিৎসা-কেন্দ্রে শেষ সময়টা কাটাচ্ছেন, একদিন সকালে সেখানকার নিরাপত্তারক্ষীদের ফাঁকি দিয়ে তারা বেরিয়ে পড়েন। শুরু হয় এক অলৌকিক সফর। চলতে চলতে নানা অচেনা মানুষের সান্নিধ্যে এসে তাদের সুখদুঃখ আর সংকটের অংশীদার হয়ে এক পরমাশ্চর্য উপলব্ধিতে পৌঁছে যান। এই উপলব্ধি শুধু ওই তিনজনেরই নয়, ‘সূর্যাস্তের আগে’ উপন্যাসটি যাঁরা পড়বেন—তাঁদেরও।