“ঘরহীন এক ঘরে” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
কোন কিছুই রাজনীতির বাইরে নয়, এমন কি টানবাজার পতিতালয়ও! আর তাই ব্রিটিশ আমলে নারায়ণগঞ্জের টানবাজারে গড়ে ওঠা পতিতালয়ের প্রভাব স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ক্রমশ স্থানীয় রাজনীতিতে ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষমতার পালাবদলের সাথে সাথে টানবাজারের নিয়ন্ত্রণভার নিতে আসা লােকের অভাব হয় নি কখনাে। এমন একজন টানবাজারের এক দালালের ছেলে মন্টু যে কিনা পতিতালয়ের উপার্জন দিয়ে ক্রমশ জমিয়ে বসে স্থানীয় ব্যবসা আর রাজনীতিতে। অন্যদিকে পেটের দায়ে যারা টানবাজারে থাকতে বাধ্য হয় সেই শিউলি, দীপাবলী, মিতা খানম কিংবা রাণীদের। গল্প যেন একই রকম। দালালের ছেলে মন্টুর জীবন যখন কথিত দাপট আর প্রভাব প্রতিপত্তির, তখন শিউলির ছেলে মুক্তার জীবন কীভাবে কাটছে? প্রতিটা মুহূর্তে সে কেন জীবন থেকে পালিয়ে বেড়াতে চায়? একাত্তর সালে টানবাজারে যেন পাকিস্তানী হানাদাররা হামলা না চালায় সে জন্য সত্যি সত্যি কী আর্মি ক্যাম্পে গিয়েছিল শিউলি? শিউলির ছেলে যখন তাকে নিয়ে চলে। যেতে চায় পরিচিত সব বলয়ের বাইরে তখনই জানা যায় শিউলির দেহে বাসা বেধেছে দুরন্ত ক্যান্সার! টানবাজারের নির্মম বাস্তবতা আর সত্য ঘটনা নির্ভর ত্রয়ী উপন্যাসের যন্ত্রনাময় মধ্যম পর্ব হচ্ছে ঘরহীন এক ঘরে। সূচনা পর্বের নাম ছিল মার কাছে যাব।