একডজন কর্ণেল

৳ 448.00

লেখক সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ
প্রকাশক পত্র ভারতী (ভারত)
আইএসবিএন
(ISBN)
9788183740368
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ২০৮
সংস্কার 5th Printing, 2013
দেশ ভারত

“একডজন কর্ণেল” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
কর্নেল নীলাদ্রি সরকারকে পাঠকদের কাছে পরিচিত করানাে ধৃষ্টতা। কর্নেল মানেই মাথায় টুপি, মুখে চুরুট, অন্তর্ভেদী দৃষ্টির এক শালপ্রাংশু চরিত্র। সেনাবাহিনী থেকে অবসর নিয়ে নেশায় যিনি প্রকৃতিবিদ, পেশায় রহস্যভেদী। কর্নেলের সহকারী সাংবাদিক জয়ন্ত, আর মাঝে-মাঝে থাকেন রিটায়ার্ড দারােগা হালদারমশাই, যাঁর অতি উৎসাহ যখন-তখন বিপদে ফেলে অন্যদের। ভারতবর্ষের যেখানেই প্রজাপতিপ্রকৃতি বা রহস্য, ছুটে যান কর্নেল। আর এমনি করেই এক-একটি রুদ্ধশ্বাস রহস্য, যার মধ্যে এসে পড়ে জানা অজানা নানা তথ্যও। চারিদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বা অপ্রকাশিত ১২টি কর্নেল-কাহিনি দিয়ে সাজানাে হল ‘একডজন কর্নেল। এর মধ্যে যেমন উপন্যাস, বড় গল্প আছে, রয়েছে ছােট-ছােট আশ্চর্য রহস্যময় সব গল্পও।

Syed Mustafa Siraj
( জন্ম : ১৪ অক্টোবর, ১৯৩০ - মৃত্যু: ৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ ) একজন ভারতীয় বাঙালি লেখক। 'কর্নেল' তাঁর সৃষ্ট একটি জনপ্রিয় গোয়েন্দা চরিত্র।
প্রখ্যাত সাহিত্যিক সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ মুর্শিদাবাদ খোশবাসপুর গ্রামে ১৯৩০ সালে অক্টোবর মাসে জন্মগ্রহণ করেন। প্রথম জীবনে বাড়ি থেকে পলাতক কিশোরের জীবন অতিবাহিত করেছেন। রাঢ় বাংলার লোকনাট্য "আলকাপের" সঙ্গে যুক্ত হয়ে নাচ-গান-অভিনয়ে অংশ নিয়ে জেলায় জেলায় ঘুরেছেন৷ তিনি ছিলেন 'আলকাপ' দলের "ওস্তাদ" (গুরু)। নাচ-গানের প্রশিক্ষক। কলকাতায় বাস করলেও নিজেকে কলকাতায় প্রবাসী ভাবতেই ভালোবাসতেন। সুযোগ পেলেই বার বার মুর্শিদাবাদের গ্রামে পালিয়ে যেতেন। সেই পলাতক কিশোর তাঁর চরিত্রের মধ্যে লুকিয়ে ছিল। তাঁর পিতার সঙ্গে বর্ধমানের কর্ড লাইনে নবগ্রাম রেল স্টেশনের কাছে কিছুদিন ছিলেন। সেখানে গোপালপুর মুক্তকেশী বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন। সেই নবগ্রাম গোপালপুরের প্রেক্ষাপটে তিনি লিখেছিলেন 'প্রেমের প্রথম পাঠ' উপন্যাস। তাঁর লেখকজীবনের প্রথম দিকের উপন্যাস। গোপালপুর থেকে পাশ করে তিনি ভর্তি হন বহরমপুর কলেজে।
সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের লেখক সত্তায় জড়িয়ে ছিল রাঢ়ের রুক্ষ মাটি। মুর্শিদাবাদের পাশের জেলা বীরভূম। যেখানে লাভপুর গ্রামে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম। একই জলহাওয়া তাঁদের দুজনকেই প্রাণোন্মাদনা দিয়েছিল। তাই তারাশঙ্কর বলতেন, "আমার পরেই সিরাজ, সিরাজই আমার পরে অধিষ্ঠান করবে।"
সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের 'অলীক মানুষ' উপন্যাসটি ভারত সরকারের সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বঙ্কিম পুরস্কার - এসব ছাড়াও ভুয়ালকা পুরস্কার দ্বারা সম্মানিত। তাঁর 'অমর্ত্য প্রেমকথা' বইয়ের জন্য জন্য তিনি পেয়েছেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত নরসিংহদাস স্মৃতিপুরস্কার। এছাড়া ১৯৭৯ সালে পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার । পেয়েছেন বিভূতিভূষণ স্মৃতি পুরস্কার,সুশীলা দেবী বিড়লা স্মৃতি পুরস্কার, দিল্লির OUF সংস্থার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পুরস্কার, শরৎচন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার ইত্যাদি আরও অনেক পুরস্কার তিনি তাঁর সামগ্রিক সাহিত্য-কৃতিত্বের জন্য পেয়েছেন। তাঁর অনেক কাহিনী চলচ্চিত্রায়িত হয়েছে, যেমন 'কামনার সুখ দুঃখ' উপন্যাস অবলম্বনে 'শঙ্খবিষ"। দীনেন গুপ্তের পরিচালনায় 'নিশিমৃগয়া'। উত্তমকুমার অভিনীত 'আনন্দমেলা'। অঞ্জন দাশ পরিচালনা করেছেন সিরাজের ছোটগল্প 'রানীরঘাটের বৃত্তান্ত' অবলম্বনে 'ফালতু'। সিরাজের "মানুষ ভূত" কাহিনী চলচ্চিত্র ছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে মঞ্চে ক্রমাগত অভিনীত হয়ে চলেছে। এই স্কুল পালানো মানুষটিই পেয়েছিলেন সাম্মানিক ডক্টরেট উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন →
বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ