শাহজাদা সাইফুল একজন তরুণ প্রজন্মের লেখক। চারপাশের সবাই যখন দ্বীনে ফেরার জন্য মরিয়া। তখন শয়তান ও বসে নেই! মুখোশের আড়ালে আবডালে থেকে, সে-ও দ্বীনে ফেরা মানুষগুলোকে বিভ্রান্তের জালে আটকে ফেলতে আঁটসাঁট হয়ে মাঠে নেমেছে। ফলস্বরূপ হাজার বছর পূর্বে মুসলিম উম্মাহর মীমাংসিত বিষয়সমূহকে উসকে দিয়েছে জনসমক্ষে। মাজহাব আঁকড়ে ধরে থাকা কল্যাণকামী মুসলিম মননে সংশয় ও সন্দেহের বীজ বপন চলছে যখন প্রকাশ্যভাবে। এমনি এক কঠিন মুহূর্তে লেখকের হাত ধরে প্রস্ফুটিত হলো এন্টিবায়োটিক নামে অসাধারণ একটি বই। বইটিকে লেখক উপন্যাস আকারে সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে কোরআন ও সুন্নাহর রঙ-ঢঙে সাজিয়েছেন, যা বাঙলা ভাষায় এই প্রথম। বইটি পড়ার পর পাঠকদের উৎকন্ঠা ও আবেগময় একটাই বাক্য ছিলো, ‘কোরআন ও সুন্নাহর রেফারেন্স সম্বলিত বই-ও এমন হতে পারে, তা না পড়লে তারা জীবনের পরিপূর্ণতা পেতো না’। সহস্র মানুষ বিভ্রান্তির পথকে গুড বাই জানিয়ে ফিরে এসেছেন, নাজাতের পথে। যেই পথে ছিলেন আমাদের সালাফগণ। বইটি বাইতুল মোকাররম বইমেলায় বেস্ট সেলার ক্যাটাগরিতে ছিলো। বইটি পাঠকপ্রিয়তা অর্জনের কারণে, লেখক হৃদয়ে আত্মতৃপ্তি পান। প্রতিশ্রুতি বদ্ধ হন এই বলে যে, উম্মাহর জন্য তার অনেক কিছু করা এখনো যে বাকি! লেখক ইলিশের শহর নামে খ্যাত চাঁদপুর জেলায় শেখ বংশের সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে রমজান মাসে জন্ম গ্রহণ করেন। গ্রামের স্কুলে প্রাইমারি শিক্ষা সমাপ্ত করে ভর্তি হন ফরিদগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী রামপুর বাজার দারুচ্ছুন্নাত ফাজিল মাদ্রাসায়। সেখানে জেডিসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ+ পেয়ে উপজেলার মধ্যে প্রথম হন এবং ট্যালেন্টপুল বৃত্তি পান। তারপর সাইন্স গ্রুপ থেকে দাখিলে এ+ প্রাপ্ত হন। এভাবে আলিম, ফাজিল এবং কামিল কৃতিত্বের সাথে মাদ্রাসা থেকে সমাপ্ত করেন। তিনি মাদ্রাসা শিক্ষার পাশাপাশি চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে গণিতে অনার্স করেছেন। তার প্রিয় শখ ধর্মতত্ত্ব বিষয়ে লেখালেখি করা এবং দ্বীনের খেদমতে নিজেকে উৎসর্গ করা।