ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা
এক্কেবারে সাদামাটা নিম্নমধ্যবিত্ত ঘরের কেন্দ্রীয় চরিত্র নীলু…… যাকে ঘিরে আবর্তিত হতে থাকে অন্যান্য চরিত্রগুলো। সাধারণ সুখের চাইতে সাধারণ বেদনা বেশি। আপোষহীন বাবা-মা’র সন্তান হয়েও দুঃসহ অবস্থার জটজটিলতায় পড়ে নিজের অজান্তেই এরা গভীর গভীর আপোষের তলায় তলিয়ে যেতে থাকে। একজন পেইন্টার, ইফতেখার, বিশাল বাড়িতে একা থাকে। সাতটি স্কেচ আঁকার জন্য সে নীলুর অভিব্যক্তিকে বেচে নিতে গিয়ে প্রশ্ন করে-আপনি আমার ক্যানভাসের রেখা হবেন? যদিও সম্মানীর বিনিময়ে কাজ…… মুমুর্ষূ বাবাকে বাঁচাতে হবে…. নীলু নিজের অজান্তেই দিনের পরদিন ইফতেখারের, কাজ, চলা, হেঁয়ালীর ফাঁদে আটকা পড়ে, নিজের দেহে মনে অনুভব করে অদ্ভুত এক তরঙ্গ……. সে অপেক্ষা করে, নিশ্চয়ই ইফতেখার একদিন তার সম্মানীয়, অনুভূতিময় আঙুল স্পর্শ করবে। পাড়ার ছেলে সাব্বির, ছেলেবেলা থেকেই তার নিজের বোধে কল্পনায় স্বপ্ন দেখেছে, একজন নারীকেই— তাকে সে প্রায়ই সে বলতে চায়, নীলু’পা তোমাকে আমি কিছু একটা বলতে চাই। কী? নীলুর এই প্রখর ব্যক্তিত্বমাখা প্রশ্নের সামনে সে বারবার কুঁকুড়ে যায়। এক সময় এক দুঃসহ রূঢ় বাস্তবতায় হু হু বাস্তার রাত্তিরে নীলু ভেঙেচুরে বসে পড়ে, অথবা দাঁড়ায়।