বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা
জীবনের নিগূঢ় রহস্যাবলীকে যদি উপন্যাসের বিষয় ধরা হয় তাহলে নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে ‘নৈঃশব্দের নগরী’-তে এই রহস্যই মূল উপজীব্য। যার অলি-গলিতে ছড়ানাে ভালােবাসা অথবা ভালােবাসাহীন বসবাসের কথা। আবার পথ চলতে গিয়ে প্রতিবাদী হয়ে ওঠাও এই কাহিনীকে অন্যমাত্রায় নিয়ে যায়। শহর ঢাকা থেকে যে কাহিনী দূর মফস্বলে বিস্তৃত হয়, যেখানে একজন যুবকের সমাজ অথবা রাষ্ট্রের সঙ্গে বােঝাপড়া চলে; এই সময়ের সন্তান বলেই তাকে ভুগতে হয় নানা বিভ্রান্তিতে। যে বিভ্রান্তির আহ্বানে সাড়া দিয়েই মানুষ এগিয়ে চলেছে সামনের দিকে, পেছনে ফিরে তাকানাের সময় কোথায় ? জীবনের রঙ দিয়ে যে ছবি আঁকতে চেয়েছিল নীতা সেই ছবি ভেঙে গেলেও, ছবির রঙকে সে ধুয়ে-মুছে ফেলতে পারে না। এই নাপারাই তাকে বাঁচিয়ে রাখে, আশাবাদী মানুষের মতাে। নৈঃশব্দের নগরীর এখানেই জয়, নিকষ অন্ধকারেও পিলসুজের আলােয় সে জীবনকে পথ। করে দেয় ভবিষ্যতের। মাসুদা ভাট্টি জীবনের কথাকার, জীবনকে নিয়েই তার পরীক্ষানিরীক্ষা– নৈঃশব্দের নগরীতেও তিনি সেই জীবনেরই ছবি এঁকেছেন নিষ্ঠার সঙ্গে।