ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা
খুব খুশি আমি একই সঙ্গে আনন্দ এবং বেদনার বোধ করি। মনে হয় আনন্দ-বেদনার মাথামখি না হলে অনুভবের মুগ্ধতা গাঢ় হয় না। এমন একটি মানসিক প্রতিক্রিয়া যুক্ত হচ্ছে এই বইটি প্রকাশের সঙ্গে। স্নেহভাজন মশিউরকে শুধু ধন্যবাধ বললে কম বলা হবে। আরও একটি কারণে আমি খুবই আনন্দিত। তরুণ প্রকাশকরা যে এভাবে প্রবীণদের খুঁজে নিচ্ছে এটিকে আমাদের সাহিত্যভুবনের বড় ঘটনা হিসেবে দেখছি। নিজে কখনো ভাবিনি যে নির্বাচিত গল্প সংকলন করতে হবে। প্রস্তাব এসেছে প্রিয় মানুষদের কাছ থেকে। তাদের প্রস্তাব আমাকে এমন একটি সংকলনের জন্য অনুপ্রাণিত করেছে। এটি লেখক হিসেবে পাঠকের কাছ থেকে বড় পাওয়া। যে গল্পগুলো এ গ্রন্থে সংকলিত হলো তা একজন লেখকের দীর্ঘ সময়ের বিবর্তনের সাক্ষী, যে বিবর্তন আনন্দ, ঘৃণা, দ্রোহ, প্রতিবাদ, প্রতিরোধের ভেতর দিয়ে সংঘটিত হয়েছে। শিল্পকর্ম নির্মাণে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে খুব আন্তরিকভাবেই চেষ্টা করেছি। পাঠক- সমালোচকরা বলবেন কতটা হয়েছে বা হয়নি। শিল্পের সৃজনশীলতার কাঠগড়ায় সব লেখককেই দাঁড়াতে হয়। সময়ই সবচেয়ে বড় বিচারক। শিল্পের পূর্ণতা ছুঁতে না পারলে সময়ের পৃষ্ঠা থেকে মুছে যেতে হবে। ধরে রাখার সাধ্য কারো নেই। এটুকুই মনে রাখার চেষ্টা করেছি লেখালেখির পুরোটা সময়।