কমিউনিজম ও ভাবীকাল

৳ 200.00

লেখক রাহুল সাংকৃত্যায়ন
প্রকাশক রুক্কু শাহ ক্রিয়েটিভ পাবলিশার্স
আইএসবিএন
(ISBN)
9789848928196
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ১৪৪
সংস্কার 2nd Printed, 2014
দেশ বাংলাদেশ

ভূমিকা
১৯৩৪ সালে ‘সাম্যবাদই বা কেন’ বইটি লিখেছিলাম। ওই সময়ে হিন্দিভাষায় এই ধরনের বইয়ের অভাব ছিল। এই স্বল্পাকার বইটি পাঠকদের ভালো লেগেছে জেনে আমার প্রচেষ্টা সফল হয়েছে মনে করি। বর্তমান সংস্করণে অনেক জায়গাতেই সংশোধন করেছি, পাঠক হয়তো বা চিন্তা করেছিলেন, বইটি আকার বৃদ্ধি ঘটবে কিন্তু তার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। সাম্যবাদের বিষয় সবিস্তারে জানতে উৎসুক পাঠকদের জন্যে ইতিমধ্যেই অন্যান্য পুস্তক রচনা করেছি। আধুনিক বিজ্ঞান যে কীভাবে সাম্যবাদী ভাবনা- চিন্তাকেই সমর্থন করে- তা জানতে হলে ‘বিশ্বের রূপরেখা’ পড়তে পারেন, মানব- সমাজের বিকাশ ধারায় কীভাবে এক বিশেষ সময়ে সাম্যবাদ এসেছে, তা জানার জন্যে আছে ‘মানব-সমাজ’ , সাম্যবাদী দর্শনের জন্যে আছে ‘বৈজ্ঞানিক বস্তুবাদ’ প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সমস্ত দর্শনগুলির সাম্যবাদী বিশ্লেষণ করেছি ‘দর্শন-দিগ্‌দর্শন’ গ্রন্থে। আর ইতিহাস তা গতিপথে চলতে চলতে কীভাবে সাম্যবাদের দরজায় উপস্থিত, তা যদি কাহিনির রূপে পড়তে চান, তার জন্যে আছে ‘ভোলগা থেকে গঙ্গা’। এগুলি ছাড়াও সাম্যবাদের মহান নেতৃবৃন্দ-মার্কস, এঙ্গেলস, লেনিন ও স্তালিন এর বহু গ্রন্থই হিন্দি ভাষায় অনুবাদ করেছি। এই চিন্তা থেকেই বর্তমান গ্রন্থটির কলেবর বৃদ্ধি করিনি। মোটামুটি ভাবে দু-তিন ঘণ্টার মধ্যেই সাম্যবাদ সম্পর্কে যাঁরা জানতে এবং বুঝতে চান, তাঁদের জন্যে এই বইটিকে প্রবেশিকা বলে ধরা যেতে পারে। আর যাঁরা , আরও বিশদ ভাবে জানতে ইচ্ছুক, নিজের জন্যে এবং আগামীকালের উত্তরপুরুষ আর মানবতার কল্যাণ সাধনে যে জ্ঞান অত্যন্ত জরুরি, তাঁদের জন্য আছে আরও মূল্যবান গ্রন্থাদি।
রাহুল সাংস্কৃত্যায়ন

তাঁর জন্ম ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে সনাতন হিন্দু ভূমিহার ব্রাহ্মণ পরিবারে। জন্মস্থান উত্তর প্রদেশের আজমগড়ের একটি ছোট্ট গ্রাম। তাঁর আসল নাম ছিল কেদারনাথ পাণ্ডে। ছোটোবেলাতেই তিনি মাকে হারান। তাঁর পিতা গোবর্ধন পান্ডে ছিলেন একজন কৃষক। বাল্য কালে তিনি একটি গ্রাম্য পাঠশালায় ভর্তি হয়েছিলেন। আর এটিই ছিলো তাঁর জীবনে একমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। অষ্টম শ্রেণী অবধি অধ্যয়ন করেছিলেন। এখানে তিনি উর্দু ও সংস্কৃতের উপর প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। তিনি বহু ভাষায় শিক্ষা করেছিলেন যথা : হিন্দি, উর্দু, বাংলা, পালি, সংস্কৃত, আরবি, ফারসি, ইংরেজি, তিব্বতি ও রুশ।

পুরস্কার তালিকা
পদ্মভূষণ (১৯৬৩)
সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার (১৯৫৮)

ব্যক্তিগত জীবন
জালিওয়ানওয়ালা বাগের হত্যাকান্ড (১৯১৯) তাঁকে একজন শক্তিশালী জাতীয়তাবাদী কর্মীতে রূপান্তরিত করে। এ সময় ইংরেজ বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে তাকে আটক করা হয় এবং তিন বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হয়। এ সময়টিতে তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ সংস্কৃতে অনুবাদ করেন। পালি ও সিংহল ভাষা শিখে তিনি মূল বৌদ্ধ গ্রন্থগুলো পড়া শুরু করেন। এ সময় তিনি বৌদ্ধ ধর্ম দ্বারা আকৃষ্ট হন এবং নিজ নাম পরিবর্তন করে রাখেন রাহুল (বুদ্ধের পুত্রের নামানুসারে) সাংকৃত্যায়ন (আত্তীকরণ করে যে)।, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি বিহারে চলে যান এবং ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ-এর সাথে কাজ করা শুরু করেন। তিনি গান্ধিজীর আদর্শে অনুপ্রাণিত ছিলেন এবং এসময় তিনি গান্ধীজী প্রণীত কর্মসূচীতে যোগদান করেন। যদিও তাঁর কোনো আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ছিলো না, তবুও তার অসাধারণ পান্ডিত্যের জন্য রাশিয়ায় থাকাকালীন লেনিনগ্রাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে শিক্ষকতার অনুরোধ করা হয়। তিনি তা গ্রহণ করেছিলেন। ভারতে এসে তিনি ডঃ কমলা নামক একজন ভারতীয় নেপালি মহিলা কে বিয়ে করেন। তাদের দুই সন্তান হয়, কন্যা জয়া ও পুত্র জিৎ। পরে শ্রীলংকায় (তৎকালীন সিংহল) বিদ্যালঙ্কার বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এখানে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে দার্জিলিংয়ে, ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দের ১৪ এপ্রিল তারিখে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন →
বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ