ফ্ল্যাপে লিখা কথা
বস্তুনিষ্ঠ এক প্রক্রিয়ারফসল হিসেবে মহাবিশ্বে সৃষ্টি হয়েছে পৃথিবী। এই পৃথিবীতে অসংখ্য প্রাণীর মধ্যে মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব নিরুপন হয়েছে তার অন্ত হীন কৌতূহল ,মননশীতা ও সৃষ্টিশীলতার জন্য। নানাবিধ প্রতিকূলতাকে মোকাবেলা ও জয় করে মানুষ নির্মান করেছে নানা সভ্যতা। সভ্যতা-নির্মাণে ও উৎকর্ষ -সাধনে মানবজাতিকে সহায়তা করেছে তার বিজ্ঞানচেনতা। প্রাচীন বিশ্বের নানা অঞ্চলে গড়ে উঠেছে নগর সভ্যতা। এইসব সভ্যতায় মানুষের জ্ঞানস্পৃহা ও নান্দনিকবোধের সমবায়েং জ্ঞানতত্বের বিভিন্ন শাখা-জ্যোতিবিজ্ঞান,গনিত,ভূগোল, চিকিৎসাশাস্ত্র,রসায়নবিদ্যা,পদার্থবিদ্যা, স্থাপত্যশিল্প প্রভৃতির যে অভাবিতপূর্ব বিকাশ ঘটেছে, তা মানবীয় মনীসারই সাফল্যের উদাহারণ। তবে নানা অঞ্চলে বিকশিত বিভিন্ন সভ্যতার যে গৌরবময় অবদান, সভ্যতা ও অঞ্চল-ভেদে তার স্বতন্ত্র রূপ ও চরিত্র আছে, একুশ শতকের তথ্য প্রযুক্তি ও অন্যান্য ক্ষেত্রে অভ্রস্পর্শী সাফল্যের পেছনে সেইসব সভ্যতার অপরিমেয় অবদান রয়েছে , যা আমাদের জানা দরকার। কিন্তু এ কৌতূহল মেটানোর কোনো আয়োজন চোখে পড়ে না। তাই বিভিন্ন সভ্যতার বিজ্ঞান -ভিত্তিক সাফল্যের এক প্রাঞ্জল বর্ণনা উপস্থাপন করেছেন এ-গ্রন্থটিতে বিশ্বসভ্যতা-বিশেষজ্ঞ এ কে এম শাহনাওয়াজ। তাঁর ভাষা সাবলীল। সঙ্কলিত দুর্লভ চিত্রসমূহ বাড়তি পাওনা।র্ ফলে এ বই যে কোনো চিত্রসমূহ পাঠকের জন্য উপভোগ্য।
সূচি
* প্রথম অধ্যায়:- পৃথিবীর জন্মকথা
* দ্বিতীয় অধ্যায়:-জীবনের উৎস
* তৃতীয় অধ্যায়:- মানুষের ক্রমবিকাশ
* চতুর্থ অধ্যায়:- প্রাগৈতিহাসিক যুগ ও মানুষের প্রাথমিক বিজ্ঞান চেতনা
* পঞ্চম অধ্যায়:- সভ্যতার যাত্রা ও প্রাচীন মিশরে বিজ্ঞান
* ষষ্ঠ অধ্যায়: – মেসোপটেমিয়ায় বিজ্ঞান
* সপ্তম অধ্যায়:- পারস্যে বিজ্ঞান