ফ্ল্যাপে লিখা কথা
‘ইতিহাস ও ঐতিহাসিক’ শিরোনামের এই গ্রন্থটি বিষয়বস্তুর দিক থেকে দুই ভাগে বিভক্ত। ‘ইতিহাস’ অংশটি মূলত ইতিহাসতত্ত্ব বিষয়ক আলোচনা। আর দ্বিতীয় অংশটি কয়েকজন নির্বাচিত ঐতিহাসিক ও তাঁদের রচনার মূল্যায়ন। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিষয়ে এই গ্রন্থটি একটি কোর্সের পরিপূরক। একসময় এ ধারার কোর্স ইতিহাসতত্ত্ব নামে পরিচিত ছিল। পরে পাঠক্রমে কিছুটা পরিবর্তন এনে ইতিহাস ও ঐতিহাসিক শিরোনামে বিষয়টি সাজানো হয়েছে। মূলত ইতিহাস পঠন পাঠনের তাত্ত্বিক বিষয় ঐতিহাসিকদের গুরুত্বপূর্ণ রচনার পর্যালোচনার মধ্য দিয়ে ইতিহাস বিষয়টি শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্পষ্ট করার চিন্তা থেকে এই কোসের পাঠক্রম বিন্যাস করা হয়েছে। তাত্ত্বিক ধারার গ্রন্থ অনেক পাঠকের কাছে কিছুটা জটিল মনে হতে পারে । এ কারণে একটি তথ্যসমৃদ্ধ সুখপাঠ্য গ্রন্থের অভাব বোধ করছিলেন শিক্ষার্থীগণ ও শিক্ষকগন। এই অভাব পূরণের একটি বিনীত চেষ্ট রয়েছে বর্তমান গ্রন্থটিতে। নয়টি অধ্যায়ে বিন্যস্ত এই গ্রন্থের প্রথম আট অধ্যায়ের ইতিহাসতত্ত্বের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তথ্যসমৃদ্ধ এই অধ্যায়গুলো সাবলীল ভাষাশৈলীর কারণে সুখপাঠ্য হয়ে উঠেছে। তথ্য বিশ্লেষণে বিশ্ব ইতিহাসের পাশাপাশি বাংলাদেশের ইতিহাসের নানা দিক থেকে উদাহারণ উপস্থাপন করায় বিষয়বস্তু পাঠকের কাছে হয়েছে অনেক বেশি হৃদয়গ্রাহী। সিলেবাসের শাসন সংযোজন করা হয়েছে। যাতে ইতিহাসের পাশাপাশি প্রত্নতত্ত্ব ও নৃততত্ত্বের শিক্ষার্থীদের চাহিদাও মেটানো যায়। ঐতিহাসিকদের মূল্যায়ন করতে গিয়েও এই গ্রন্থ সিলেবাসে আটকে থাকে নি। আধুনিক সময়ে ইতিহাস ,নৃতত্ত্ব ও প্রত্নতত্ত্ব চর্চা্য় বিশেষ অবদান রাখা কয়েকজন ব্যক্তিত্ব ও তাদের রচনা নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে। এভাবে ‘ইতিহাস ও ঐতিহাসিক’ সার্বিক বিচারে একটি পূর্না্ঙ্গ গ্রন্থের অবয়ব লাভ করেছে।