শ্রেষ্ঠ কবিতা

৳ 360.00

লেখক শামসুর রাহমান
প্রকাশক দে’জ পাবলিশিং (ভারত)
আইএসবিএন
(ISBN)
9788129518279
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ২৩৪
সংস্কার 1st Reprint , 2013
দেশ ভারত

ভূমিকা
শুধু দরবেশরাই পারেন পুরোপুরি নির্মোহ হতে। তাই নিজের কবিতা বাছাইয়েঢর কাজ এত কঠিন। একটা সীমিত জায়াগায় কাদের ঠাঁই দোবো আর কাদেরই বা খারিজ করবো, এই দ্বিধা সারাক্ষণ নির্বাচককে দখল করে রাখে। ভালো-মন্দের বিচার করতে গিয়ে বিড়ম্বিত হতে হয় বারংবার। দুর্বলতার ফাঁক ফোকর দিয়ে ঢুকে পড়ে কিছু নিকৃষ্ট রচনা আর কোনো কোনো উৎকষ্ট লেখা বাদ পড়ে যায়। এ কারণেই এই বইয়ের কবিতা নির্বাচনে নিজের মতামতকে সম্পূর্ণ আমল না দিয়ে কোনো কোনো বিদগ্ধ কাব্যরসিকের পরামর্শ নিতে প্রলুব্ধ হয়েছি। আমার বন্ধু এবং নন্দিত কথাশিল্পী রশীদ করীম, যিনি সহযোগিতার ক্ষেত্রে বরাবরই উদার, কবিতা বাছাই করতে আমাকে যথেষ্ট সাহায্য করেছেন।

আমার কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা একটু বেশি। এর ফলে যথাসম্ভব নির্দয়তা করার পরও পাণ্ডুলিপি স্থূলকায় হয়ে ওঠে। বরাদ্দ পৃষ্ঠাসংখ্যার দিকে নজর রেখে পাণ্ডুলিপির কার্শ্যতার প্রতি মনোযোগী। হতে হয়েছে। এই মুশকিল আসান করবার উদ্দেশ্য আমার প্রিয় অগ্রজ কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর শরণাপন্ন হই । কবিতা বলীর চূড়ান্ত বাছাইয়ের কাজ তাঁর হাতে সম্পাদিত হয়েছে বলে ব্যাপারটি আমার উদ্যোগ না নিলে এই বই হয়তো কলকাতার থেকে এত তাড়াতাড়ি প্রকাশ হতো না। বইয়ের পাণ্ডুলিপি তৈরি ও প্রুফ সংশোধনের কাজ করেছেন তরুণ কবি ও গবেষক মাসুদুজ্জামান। এঁদের সকলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

আরেকটি কথা। এই সংকলন গ্রন্থটি ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’র তিলক পরাতে আমার রুচিতে বাধে। কিন্তু প্রতিষ্ঠিত সিরিজের মর্যাদার খাতিরে শেষ পর্যন্ত তরুণ প্রকাশক শ্রীসুধাংশুশেখর দে’র সিদ্ধান্তকেই মেনে নিয়েছি।
শামসুর রহমান

নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানা থেকে আরেকটু ভেতরে মেঘনাপাড়ের গ্রাম পাড়াতলী। কবি শামসুর রাহমানের পৈতৃক নিবাস। তবে জন্মেছিলেন ঢাকা শহরের ৪৬ নম্বর মাহুতটুলির বাড়িতে। তারিখ ১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবর। দশ ভাইবোনের মধ্যে জেষ্ঠ্য তিনি। ১৯৪৮ সালে যখন তার বয়স মাত্র ১৯ বছর তখন মননের গহীন তল্লাটে কবিতার যে আবাদভূমি গড়ে উঠেছিল, তা কেবল উর্বরই হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে নলিনী।কিশোর গুহের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় প্রথম কবিতা। তারপর দে ছুট। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। পেয়েছেন আদমজী পুরস্কার (১৯৬৩), বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬৯), একুশে পদক (১৯৭৭), সাংবাদিকতার জন্যে পেয়েছেন জাপানের মিৎসুবিশি পদক (১৯৯২), ভারতের আনন্দ পুরস্কার (১৯৯৪) ছাড়াও বহু পুরস্কার। ডিলিট উপাধিতেও ভূষিত হয়েছেন। ‘মর্নিং নিউজ’-এ সাংবাদিকতার মধ্য দিয়ে ১৯৫৭ সালে যে চাকরি জীবন শুরু করেছিলেন, একই পেশায় থেকে ১৯৮৭ সালে দৈনিক বাংলার সম্পাদক পদ থেকে তিনি চাকরিতে ইস্তফা দিয়েছেন, তবু খেই হারাননি জীবন, সাহিত্য ও কবিতার পাঠ থেকে। মূলত কবি হলেও সাহিত্যে তাঁর কাজ বহুমাত্রিক। অনুবাদ সাহিত্য থেকে গদ্যের বিভিন্ন প্রশাখায় বিচরণ করেছেন তিনি। ২০০৬ সালের ১৭ আগস্ট ৭৬ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন →
বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ