“জনযুদ্ধের গণযোদ্ধা” বইয়ের ফ্ল্যাপের কথা:
১৯৭১ সাল রক্তসংগ্রামের এক অসহায় দিন। বাঙালি লড়ছে তার প্রাণের তাগিদে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণে মত্ত। সেই পৈশাচিক উল্লাসের বিরুদ্ধে, অস্তিত্বের মর্মমন্ত্রে জেগে উঠেছিল এদেশের মুক্তিকামী সাধারণ অথচ প্রত্যয়ী মানুষ। গণমানুষের সেই মুক্তিকাক্ষাই তাদের যােদ্ধা বানিয়ে দেয়। জনযুদ্ধের সেই অশ্রুসিক্ত বীরতগাথার উপাখ্যানে যারা মহান চরিত্র, গণমানুষের সেই আত্মত্যাগ, সাহসী স্বপ্নের দিন, দিনে দিনে বিস্মৃত প্রায় আজ। মেজর কামরুল হাসান ভূঁইয়া, নিজে যখন গণযােদ্ধাদের একজন, এক অতলস্পর্শী সহমর্মিতায় তুলে ধরেছেন সেইসব যােদ্ধার অনালােচিত অধ্যায়, দৃপ্তকাহিনী। যার নেপথ্যে রয়েছে আত্মগত ভালােবাসা, অপরিসীম শ্রদ্ধা। জনযুদ্ধের গণযােদ্ধা তাই আমাদের আত্মােপলব্ধির উচ্চারণ, ফিরে দেখার দায়বদ্ধতা। সুচারু গ্রন্থনায় এ এক অবারিত সমাবেশ। যেমন তিনিই প্রথম। বীরশ্রেষ্ঠদের যুদ্ধগাথা লিখেছেন- আবার নাম না জানা, অজস্র অচেনা তবু সমধিক বীরের কাহিনীও। তিনিই রচনা করেছেন এই গ্রন্থে- জনযুদ্ধের। গণযােদ্ধায়।