কেন ব্যায়াম করা দরকার?
শরীরকে সব সময় সুস্থ-সবল ও কর্মক্ষম রাখতে হলে নিয়মিত ব্যায়াম করা অবশ্যই কর্তব্য। এটা একটা দৈহিক কসরত। দেহের বিভিন্ন স্নায়ু ও পেশী অচল হয়ে পড়ে থাকলে তা কর্মহীন হয়ে যায়। ব্যায়াম করে সে সব পেশী ও স্নায়ুমণ্ডলীকে কর্মক্ষম করে তুলতে হয়। ব্যায়াম শরীরের প্রতিটি পেশী, গ্রন্থি ও স্নায়ুকে সচল রাখে। এ কারণে অনেক রােগ শরীরের কাছে ঘেঁষতে পারে না এবং অনেক রােগ শরীর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। সুতরাং ছােট-বড়, আবাল-বৃদ্ধ, বনিতা সকলেরই নিয়মিত ব্যায়াম করা দরকার। কেননা ব্যায়াম করলে শরীর সুস্থ থাকে ফলে নিজে রােগ মুক্ত থাকা যায়। আর রােগ মুক্ত থাকলে একদিকে যেমন অর্থ ব্যয় করতে হয় না অন্যদিকে তেমনি রােগের যন্ত্রণা ভােগ করতে হয় না।
ব্যায়াম করলেই মােটাসােটা হওয়া যায় বা শরীর বৃদ্ধি হয় এ রকম ধারণা অনেকেই মনে মনে পােষণ করে থাকেন। আবার অনেকে ভাবেন, ব্যায়াম করলে অধিক বলবান বা শক্তিশালী হওয়া যায়। আসলে কিন্তু এ ধারণা পুরােপুরি ঠিক নয়। নিয়মিত ব্যায়াম অনুশীলন করলে শরীর ও মন ভালাে থাকে, বিভিন্ন রােগ থেকে মুক্ত থাকা যায়, যৌবনকে অনেকদিন ধরে রাখা যায়। অর্থাৎ সহজে বার্ধক্য আসে না। শরীরের স্নায়ু ও মাংশপেশীগুলাে সবল ও সতেজ থাকে বলে সহজে ক্লান্তি আসে না। ফলে কাজে-কর্মে আলস্য আসে না। সুতরাং মােটাসােটা নাদুসনুদুস থলথলে স্বাস্থ্যের জন্যে ব্যায়াম নয়, শক্তিশালী-বলবান হবার জন্যে ব্যায়াম নয়-বরং সুস্বাস্থ্য, নিরােগ-দেহ, প্রফুল্প ও ঝরঝরে মন এবং কাজে-কর্মে উৎসাহের জন্যে সকলের নিয়মিত ব্যায়াম অনুশীলন করা একান্ত অপরিহার্য।
যারা ব্যায়াম করেন না, তারা আজ থেকেই ব্যায়াম শুরু করে দিন। নিয়মিতভাবে এক সপ্তাহ করলেই এর সুফল পেতে শুরু করবেন। দেখবেন দেহ থেকে অনেক রােগ বিদায় নিয়েছে, মনটা হয়ে উঠেছে তরতাজা। স্বাস্থ্য একটি অমূল্য সম্পদ। অর্থ হারালে তা পুনরুদ্ধার করা যায় কিন্তু স্বাস্থ্য হারালে তা ফিরে পাওয়া কঠিন। সুতরাং সময় থাকতে তাকে সযতনে সংরক্ষণ করতে হয়। আর ব্যায়াম হচ্ছে স্বাস্থ্য সংরক্ষণের অন্যতম মাধ্যম বা পন্থা।