উইং কমাণ্ডার

৳ 630.00

লেখক নিমাই ভট্টাচার্য
প্রকাশক দে’জ পাবলিশিং (ভারত)
আইএসবিএন
(ISBN)
8176124761
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ১৩৪
সংস্কার 4th Edition, 1999
দেশ ভারত

পথিবীর আমন্ত্রণলিপি তুলে ধরত এই চিত্রা প্যালেস। লাস্ট সটির ঐ শেষ মহত ক’টি একটি চাপা মিষ্টি উত্তেজনা অনুভব করত সবাই। চিত্রা প্যালেসের হাতছানি যেন বিভাের করে তুলতে সবাইকে।এক ঘণ্টা মাত্র লাঞ্চ। তারপর আবার ক্লাশ, আবার ফাইং। একটা-দুটো সটি ফ্লাইং, এর মাঝে হয়ত বা দ’চার মিনিটের জন্য টি ক্লাবে হাসি-ঠাট্টা আর এক কাপ চা বা কফি। গরমের দিনে লাঞ্চের পর ছুটি। বিকেলের দিকে খেলাধুলা। রাইডিং, সুইমিং, হকি, ফুটবল, ভলিবল থেকে হা-ডু-ডু পর্যন্ত। নেই বিলিয়ার্ড। ওটা শাধ, অফিসারদের জন্য। ছুটির দিনে দল বেধে শহরে যাওয়া। সিনেমা দেখা, রেস্তোরাঁয় খাওয়া। রাস্তাঘাটে পদ্মিনীর উত্তরসাধিকাদের দেখে ঈষৎ চাঞ্চল্য। একটু হাসি, একটু ইসারা। হয়ত বা একটু রােমাঞ্চ। সেসব দিন কোথায় হারিয়ে গেছে। কিন্তু আজও অঞ্জলি মাধুরকে নিয়ে কত আলােচনা। অফিসার্স মেসে ককটেল-ডিনারের রাতে কত মৌমাছি ঘরে বেড়ায় তার চারপাশে।কোন অজ্ঞাত অজানা দিগন্ত থেকে উড়ে আসে বাতাস। বঙ্গোপসাগর থেকে সে সংগ্রহ করে জলীয় বাষ্প। বষা নামে গাঙ্গেয় উপত্যকায়। তিব্বতের হাওয়া তুষারমৌলী হিমালয় পশ করে ঠাণ্ডা করে সমগ্র উত্তর-মধ্য ভারত।

বাংলা সাহিত্যের এই খ্যাতিমান ঔপন্যাসিক নিমাই ভট্টাচার্য ১৯৩১ সালের ১০ এপ্রিল কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর আদি নিবাস তৎকালীন যশোর জেলার মাগুরা মহকুমার (বর্তমান জেলা) শালিখা থানার অন্তর্গত শরশুনা গ্রামে। তাঁর পিতার নাম সুরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। নিমাই ভট্টাচার্য বাংলাদেশের বগুড়া জেলার কালীতলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ীর কন্যা দীপ্তি ভট্টাচার্যকে বিবাহ করেন। কলকাতার টালিগঞ্জের শাশমল রোডের বাসায় বসবাস করতেন তিনি। শিক্ষাজীবন: নির্মম অদৃষ্ট সাড়ে তিন বছর বয়সে তিনি মাতৃহীন হন। পিতার সীমিত আয়ে অকল্পনীয় দুঃখ কষ্ট অভাব অভিযোগের মধ্যে ভর্তি হলেন কলকাতা কর্পোরেশন ফ্রি স্কুলে। কলকাতা রিপন স্কুলে কিছুদিন তিনি পড়াশুনা করার পর যশোরে ফিরে আসেন। ১৯৪১ সালে যশোর সম্মিলনী ইনস্টিটিউশনে চতুর্থ শেণীতে ভর্তি হন এবং নবম শ্রেণী পর্যন্ত সেখানে পড়াশুনা করেন। তাঁর পিতা সুরেন্দ্রনাথ বাবুও এক সময় সম্মিলনী ইনস্টিটিউশনের ছাত্র ও পরবর্তীতে শিক্ষক ছিলেন। দেশ বিভাগের পর নিমাই ভট্টাচার্য পিতার সঙ্গে কলকাতায় চলে যান এবং পুনরায় কলকাতায় রিপন স্কুলে ভর্তি হন। সেখান থেকেই তিনি ১৯৪৮ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন। এরপর তিনি কলকাতা রিপন কলেজে ভর্তি হন এবং রিপন কলেজ থেকে আই. এ পাশ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৫২ সালে তিনি বি. এ পাশ করেন। সাংবাদিকতার মাধ্যমেই তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়। কিন্তু প্রথম অবস্থায় সেখানেও তিনি ভাগ্যের বিড়ম্বনার স্বীকার হন। নিমাই ভট্টাচার্যের সাহিত্য চিন্তা তাঁর জীবনচর্চার একান্ত অনুগামী হয়ে দেখা দিয়েছে। ১৯৬৩ সালে তাঁর লেখা একটি উপন্যাস কলকাতার সাপ্তাহিক ‘অমৃতবাজার’ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় এবং সাহিত্যামোদীদের নিকট ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করে। পরবর্তীকালে ‘রাজধানী নৈপথ্য’ রিপোর্টার. ভি.

আই. পি এবং পার্লামেন্ট স্টীট নামক চারখানি উপন্যাস ঐ একই পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে সাংবাদিকতার পাশাপাশি নিমাই ভট্টাচার্য পূর্ণোদ্যমে আরো আরো উপন্যাস লেখা শুরু করেন। ‘মেমসাহেব’, ‘ডিপেস্নাম্যাট’, ‘মিনিবাস’, ‘মাতাল’, ‘ইনকিলাব’, ‘ব্যাচেলার’, ‘ইমনক্যলাণ’, ‘ডিফেন্স’, ‘কলোনী’, ‘প্রবেশ নিষেধ’, ‘কেরানী’, ‘ভায়া ডালহৌসী’, ‘হকার্স কর্নার’, ‘রাজধানী এক্সপ্রেস’, ‘নিমন্ত্রণ’, ‘নাচনী’, ‘অ্যাংলো ইন্ডিয়ান’, ‘ডার্লিং’, ‘ম্যাডাম’, ‘ওয়ান আপ-টু-ডাউন’, ‘গোধুলিয়া’, ‘প্রিয়বরেষু’, ‘আকাশ ভরা সূর্য তারা’, ‘মোগল সরাই জংশন’, ‘ইওর অনার’, ‘ককটেল’, ‘অনুরোধের আসর’, ‘যৌবন নিকুঞ্জে’, ‘শেষ পরানির কড়ি’, ‘হরেকৃষ্ণ জুয়েলার্স’, ‘পথের শেষে’ প্রভৃতি প্রকাশিত উপন্যাসগুলি উল্লেখযোগ্য। নিমাই ভট্টাচার্যের লেখা উপন্যাসগুলোতে বিষয়গত বৈচিত্র্যতার ছাপ প্রস্ফূটিত হয়ে উঠেছে।


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন →
বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ