গত শতকের তিরিশের দশকের শেষভাগে যখন তিনি ছাত্র, কৈশাের-যৌবনের সন্ধিস্থলে, তখনই তার গল্পে বাস্তব ও কল্পনার চমৎকার মিশ্রণ দেখতে পাই। তার অনেক গল্পেই অবশ্য এই দুয়ের মিশ্রণের তারতম্য আছে। ছাত্রজীবনের লেখা যে গল্পটিকে তিনি ‘ভাঙা বন্দর’(১৩৫২)সংকলনে নিতান্ত ‘ইতিহাসের ধারা রক্ষার খাতিরে স্থান দিয়েছিলেন সেটি Porphyria’s Lover কবিতারই যেন গদ্যকাব্যরূপ। জীবনের একটি তীব্রতম সুখের মুহূর্তে মনে হতেই পারে, এরপর আর বাঁচার কোনাে অর্থ নেই, ‘এইক্ষণটুকু হােক সেই চিরকাল’ সেইরকমই একটা অনুভবের তীক্ষ্ণতম শীর্ষে উঠে একজন নিজেকে শেষ করে দিয়েছে। বাস্তবে এই ঘটনার বিশ্বাসযােগ্যতা যাই থাক, ওই চিরকালের মুহূর্তটুকু জীবনে আর আসবে না এই ভাবনাটা অস্বাভাবিক নয়। আত্মত্যাগ করা না-করাটা সেখানে গৌণ হয়েই দাঁড়ায়। গল্পটির এই শীর্ষ-মুহূর্তটিকে ভাষায় ধরে রাখার দক্ষতাকেও মানতেই হয়। বাস্তবে তা যতই নিরর্থক মনে হােক না কেন।