হলুদ গাঁদার বনে(৩টি বড় গল্প)

৳ 1.00

লেখক সুচিত্রা ভট্টাচার্য
প্রকাশক দীপ প্রকাশন (ভারত)
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ১৫৫
সংস্কার 8th Published, 2016
দেশ ভারত

‘হলুদ গাঁদার বনে’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ
বাংলা সাহিত্যের জগতে বর্তমানে সুচিত্র ভট্টাচার্য একটি অতি পরিচিত নাম। কিশোর সাহিত্য, গল্প, উপন্যাস প্রভৃতি নানা দিকেই তাঁর লেখনীর স্ফূরণ ঘটেছে। কখনো পারিবারিক সাংসারিক জীবন, কখনো মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক, আবার কখনো বা বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছনো কিশোর-কিশোরীর মানসিকতার ছবি ফুটে উঠেছে তাঁর লেখায়।
তিনটি বড় গল্প-হলুদ গাঁদার বনে, অনিকেত এবং ভাঙা আয়না নিয়ে সংকলিত এই বই।
“মায়া কাটে না। মায়া বদলে যায়।” অথবা “ফুলের মৃত্যু”—এরকম সহজ অথচ সাবলীল প্ৰকাশভঙ্গি প্রথম গল্পটিকে অনায়াস দার্শনিকতায় ঋদ্ধ করেছে। দ্বিতীয় গল্প “অনিকেত’-এ বাড়ি বদলকে কেন্দ্র করে ঘুরে চলেছে বাড়িওয়ালা-ভাড়াটের সম্পর্ক ও স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য, যা কিনা শেষ হয় এক অমোঘ প্রশ্নের উত্তর সন্ধানে। তৃতীয় গল্প ‘ভাঙা আয়না”-য় সুচিত্র ভট্টাচার্য সেই দাম্পত্যেরই এক বিপ্ৰতীপ প্রতিফলনকে দেখান আমাদের, যা এক অবৈধ প্রেমের টানাপোড়েনে বোনা।

সূচিপত্রঃ
হলুদ গাঁদার বনে – ১
ভাঙা আয়না – ৫৩
অনিকেত – ১০৫

সুচিত্রা ভট্টাচার্য বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে আত্মপ্রকাশ করা একজন ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক। সুচিত্রা ভট্টাচার্যের বই সমূহ পাঠকদের প্রবলভাবে টানতে পেরেছে সমসাময়িক মধ্যবিত্ত শহুরে জীবনের টানাপোড়েন, পরিবর্তনশীল মূল্যবোধ আর নৈতিক অবক্ষয়কে ফুটিয়ে তোলার মাধ্যমে। সেই সাথে নারীর জীবনের দুঃখ-যন্ত্রণা, অনুভূতিগুলোও ছিলো সুচিত্রা ভট্টাচার্য এর বই সমগ্র’র আরেক উপজীব্য বিষয়। সুচিত্রা ভট্টাচার্য ১৯৫০ সালের ১০ই জানুয়ারি বিহারের ভাগলপুরে মামারবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও লেখিকার বাবার বাড়ি ছিলো মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরে। কিন্তু লেখিকার স্কুল ও কলেজ জীবনের পুরোটাই কাটে কলকাতা শহরে। কলকাতার যোগমায়াদেবী কলেজ থেকে তিনি স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে যান উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষালাভের সময়ই তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কর্মজীবনে প্রথমে বিভিন্নস্থানে চাকরি করে সরকারি চাকরিতে থিতু হন। কিন্তু ২০০৪ সালে পুরোপুরিভাবে লেখালেখিতে মনোনিবেশ করার জন্য চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে দেন। প্রায় সাড়ে তিন দশকের দীর্ঘ সাহিত্যিক জীবনে সুচিত্রা ভট্টাচার্য অসংখ্য ছোটগল্প ও চব্বিশটি উপন্যাস রচনা করেছেন। তিনি বাংলা সাহিত্যে ‘মিতিন মাসি’র মতো নারী গোয়েন্দা চরিত্র সৃষ্টি করে গিয়েছেন যা পাঠকদের কাছে আজও সমান জনপ্রিয়। সুচিত্রা ভট্টাচার্যের ছোটগল্পগুলো দিয়েই মূলত তিনি সাহিত্যে প্রবেশ করেন। কিন্তু তাঁর রচিত উপন্যাসগুলো তাঁকে লেখক হিসেবে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কাছের মানুষ, দহন, কাচের দেওয়াল, হেমন্তের পাখি, নীল ঘূর্ণি, অলীক সুখ, গভীর অসুখ, উড়ো মেঘ, ছেঁড়া তার, আলোছায়া, অন্য বসন্ত, পরবাস, পালাবার পথ নেই, আমি রাইকিশোরী ইত্যাদি। সুচিত্রা ভট্টাচার্যের উপন্যাস গল্প ‘দহন’ অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মাতা ঋতুপর্ণ ঘোষ ১৯৯৭ সালে একই নামে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। এছাড়াও লেখিকার উপন্যাস অবলম্বনে ‘ইচ্ছে’, ‘রামধনু’, ‘অলীক সুখ’, ‘অন্য বসন্ত’ এর মতো বেশ কিছু জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। সাহিত্যে অবদানের জন্য এই বাঙালি নারী সাহিত্যিক কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুবনমোহিনী মেডেল (২০০৪), কথা পুরস্কার (১৯৯৭), তারাশংকর পুরস্কার (২০০০), দ্বিজেন্দ্রলাল পুরস্কার (২০০১), শরৎ পুরস্কার, ভারত নির্মাণ পুরস্কার, সাহিত্য সেতু পুরস্কার, শৈলজানন্দ স্মৃতি পুরস্কার এর মতো নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। আজীবন তিনি কলকাতার ঢাকুরিয়ার বাড়িতে বসে লেখালেখি চালিয়ে গিয়েছেন। সেখানেই ২০১৫ সালের ১২ই মে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পরলোকগমন করেন সুচিত্রা ভট্টাচার্য।


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন →
বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ