“আধ্যাত্মিকবিদ্যা পরিচিতি” বইটির শেষের ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
ক্রমে ক্রমে বিজ্ঞান ও সভ্যতার যত উন্নয়ন হচ্ছে মানবীয় চরিত্রের তত অধঃপতন হচ্ছে। সভ্যতার উন্নয়ন ও চরিত্রের অধঃপতন যেন। বিপরীতভাবে যুগপৎ অবস্থান। সভ্যতার উন্নয়নের জন্য যেভাবে নিত্য নতুন প্রযুক্তির আবিষ্কার হচ্ছে ঠিক সে অনুপাতেই রূপকসাহিত্য বা আধ্যাত্মিক সাহিত্যটিও কোণঠাসা হচ্ছে। এহেন ক্রান্তিকালে ব্যাপকভাবে রূপক সাহিত্যাদি নির্মাণ, অধ্যবসায়, প্রচার, প্রসার ও প্রতিষ্ঠা ব্যতীত ধর্মীয় উগ্রতা, ধর্মীয়-সাম্প্রদায়িকতা ও গােত্রীয় দ্বন্দ্ব, যুদ্ধ, বিগ্রহ, বলি, বধ, হত্যা ও হনন রােধ করা এবং মানবীয় চরিত্রের উত্তরণ করার কোনাে। বিকল্প নেই। ধর্মীয় ও গােত্রীয় যুদ্ধ-বিগ্রহ নিরসন করে আবার সােনালীযুগের সুমহান চরিত্রাদি পুনর্গঠনের জন্য রূপকসাহিত্য শিল্প। পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা ব্যতীত উপায় নেই।