দ্য ম্যান হু লাফস

৳ 220.00

লেখক ভিক্টর হুগো
প্রকাশক প্রথমা প্রকাশন
আইএসবিএন
(ISBN)
9789849076483
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ১০৪
সংস্কার 3rd Printed, 2019
দেশ বাংলাদেশ

“দ্য ম্যান হু লাফস” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
সার্কাস পার্টিতে যুবকটি বত্রিশ পাটি দাঁত বের করে হাসে। থামাথামির নাম নেই। সেই হাসির পেছনে লুকিয়ে আছে এক গভীর রহস্য। ধীরে ধীরে তা উন্মােচন করেন কালজয়ী লেখক ভিক্টর হুগাে তার ধ্রুপদি উপন্যাস দ্য ম্যান হু লাফ-এ। জানা যায়, এ যুবক ইংল্যান্ডের এক বড়লােক আর্লের সন্তান ছােটবেলায় এক ডাকাত সর্দার তাকে অপহরণ করে। তারপর নিজের আক্রোশ মেটাতে ছেলেটার মুখ চরমভাবে বিকৃত করে দেয়। তার বয়স বাড়ে। এখন ফ্রান্সের এক সার্কাস পার্টি দর্শনীর বিনিময়ে তার ওই হাসিমুখ দেখিয়ে বেড়ায়। সেই বিকৃত মুখ দেখলেই মনে হয়, সে হাসছে। অবিরাম হাসি। মানুষ দেখে আর তাজ্জব বনে যায়। উর্সাস বলে এক ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসকের সঙ্গে একদিন সে পালায় সার্কাস পার্টি থেকে। সে কি জানতে পারবে তার আসল পরিচয়? ফিরে পাবে পিতার ধনসম্পত্তি? নাকি সে ফ্রান্সের পথে পথে ঘুরে বেড়াবে? সব প্রশ্নের জবাব আছে এ বইয়ে।

ভিক্টর মারি হুগো ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৮০২ সালে ফ্রান্সে জন্মগ্রহন করেন। নেপোলিয়ন বোনাপার্টের বিশাল সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ একজন কর্মকর্তার সন্তান ছিলেন তিনি। একাধারে সাহিত্য এবং রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। ফ্রান্সে সা¤্রাজ্য আইন থেকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পরিবর্তিত হওয়া এবং সেই প্রক্রিয়ার নানান উত্থান-পতনে তিনি সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিলেন। প্যারিসে বসবাসরত ভিক্টর হুগো তরুণ বয়সেই তার কবিতা, কল্পকাহিনি এবং নাটকের জন্য বিখ্যাত এবং কখনো কুখ্যাতও হয়েছিলেন। ১৮৪৫ সালে, তার বিখ্যাত গ্রন্থ লা মিজারেবল লেখার সময়, রাজা তাকে ফ্রান্সের উচ্চকক্ষের সদস্য হিসেবে গ্রহণ করেন। আইনসভার সর্বোচ্চ দলের সঙ্গে তাকে সম্পৃক্ত করা হয়। তিনি সেখানে সবার জন্য বিনা খরচে লেখাপড়া, সার্বজনীন ভোটাধিকার এবং মৃত্যুদণ্ডের বিলুপ্তির ব্যাপারে কাজ করা শুরু করেন। ১৮৪৮ সালে যখন রাজ্যে উন্নতির জোয়ার স্পষ্টভাবে কড়া নাড়ছিল, তিনি লা মিজারেবল লেখা বন্ধ করে রাজনীতিতে মনোনিবেশ করেন। কিন্তু ১৮৫১ সালে যখন দেশের প্রেসিডেন্ট নিজেকে সম্রাট হিসেবে ঘোষণা করেন, হুগোর রাজনৈতিক চেতনার বিরোধিরা তাকে বৃটিশ চ্যানেলের একটি দ্বীপে নির্বাসনে বাধ্য করে। নির্বাসনে থেকেই ১৮৬০ সালে তিনি আবার লা মিজারেবল লেখার কাজে হাত দেন এবং পরের বছর উপন্যাসটি শেষ করেন। ১৮৭০ সালে সম্রাটের পতন হলে হুগো ফ্রান্সে ফেরত আসেন, যেখানে তাকে গণতন্ত্রের মানসপূত্র হিসেবে বিপুলভাবে সম্মানিত করা হয়। ২২ মে ১৮৮৫ সালে ভিক্টর হুগোর মৃত্যুর পরে ফ্রান্সের রাস্তায় তার কফিন বয়ে নেবার সময়ে বিশ লাখ মানুষের ঢল নামে। সেদিন ফ্রান্সের জনগণ যতভাবে সম্মান জানানো সম্ভব, জানিয়ে তার শেষকৃত্যানুষ্ঠান সম্পন্ন করেন।


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন →
বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ