“তৃণমূল সাংবাদিকতা” বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ
শহর-নগর-গ্রাম, উপকূল-হাওড়-বাওর সবখানেই একটা তৃণমূল পর্যায় আছে। বাংলা একাডেমি ব্যবহারিক বাংলা অভিধান ‘তৃণ’ অর্থ করেছে। ১. ঘাস ২. তুচ্ছ। সাংবাদিকতার তৃণমূল পর্যায়টি আমাদের এই তুচ্ছ বা অবহেলা ভরে দূরে রাখা জনগােষ্ঠী পর্যন্ত। সেটা শহরের বস্তি হােক বা গ্রামের কুঁড়েঘর কিংবা উপকূলের প্রত্যন্ত এলাকাটিই হােক না কেন। বর্তমান গ্রন্থটিতে তৃণমূলের এই পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে সাংবাদিকতার প্রাণ রয়েছে এই তৃণমূল পর্যায়েই। আমরা অতীতে কাঙাল হরিনাথকে দেখেছি, আমাদের সময়ে আমরা সরাসরি পেয়েছি মােনাজাতউদ্দিনকে, কীভাবে অজপাড়াগাঁ থেকে শুরু করে নগরের কোনায় পড়ে থাকা সংবাদের মূলকে বের করে এনে গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। গ্রন্থটিতে এই বিষয়গুলােই নানাভাবে দেখানাের চেষ্টা করা হয়েছে। এ জাতীয় লেখা শুরু থেকেই নিরীক্ষায় বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত লেখাগুলাে নিয়েই গ্রন্থটি সাজানাে হয়েছে।