সন্ধ্যা হয়ে গেল, অলি এলাে না। বারান্দায় বসে গেটের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে গেল নদী। অলি কেন আসছে না! কেন আসছে না! ভেতরে ভেতরে কী রকম একটা রাগ, কী রকম একটা অভিমান আচ্ছন্ন করে ফেলল নদীকে। অলি কেন তার সঙ্গে এমন করছে। কেন তাকে কথা দিয়ে এখনও আসছে না। কোথাও টেলিফোন করে যে অলির খবর নেবে, অলির সঙ্গে কথা বলবে, উপায় নেই। কতদিন হয়ে গেল অলির সঙ্গে পরিচয়। তারপর ভালােবাসা। তীব্র আকুলতা। তবুও অলির সঙ্গে যখন ইচ্ছে কথা বলার উপায় নেই। যখন ইচ্ছে অলিকে কাছে পাওয়ার উপায় নেই। অলির কোনও ঠিকানা, অলির কোনও টেলিফোন নাম্বার জানা নেই নদীর।
আজ প্রথমবারের মতাে কথাটা মনে হলাে নদীর। অলির যখন ইচ্ছে নদীকে টেলিফোন করে। যখন ইচ্ছে নদীর সঙ্গে দেখা করে যায়। যতােক্ষণ ইচ্ছে থাকে। অলির ইচ্ছেটাই প্রধান। নদীর ইচ্ছের কী কোনও মূল্য নেই! নদীর যখন ইচ্ছে অলির সঙ্গে কথা বলবে, যখন ইচ্ছে অলিকে ডাকবে। অলির যেমন হঠাৎ করে নদীর কথা মনে হয়, নদীরও তাে তেমন হঠাৎ করে অলির কথা মনে হতে পারে। অলির যেমন হঠাৎ করে নদীকে দেখতে ইচ্ছে হয়, নদীরও তাে তেমন হঠাৎ অলিকে দেখার ইচ্ছে হতে পারে! তাহলে?