“বিশ বাঁও জল” বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
মাস ছয়েক আগে ডাক্তারের নির্দেশে সিগারেট ছাড়তে হলাে সমরেশ মজুমদারকে। আর তখনি সিদ্ধান্ত নিলেন এক বছর লিখবেন না। পাঠক ভাববেন সমরেশ মজুমদার নামের মানুষটি হয়তােবা নাই। এ কৌতুহল সৃষ্টির জন্যে লিখা বন্ধ রাখবেন। ঢাকা ক্লাবে এমন কথাই বলেছিলেন কথাসাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার। কিন্তু ধরে রাখতে পারলেন না মনের ইচ্ছাটাকে। এবছর ভারতে তার নতুন বই প্রকাশ না পেলেও আবিষ্কার এর পথচলাকে গতিময় করতে বাধ্য হলেন লিখতে। সেই সঙ্গে আবিষ্কার এর সাথে তার অঙ্গীকারও পূর্ণ হলাে। আবিষ্কার থেকে প্রতিবছর একটি করে নতুন বই প্রকাশ। ‘বিশ বাঁও জল’ বইটির ছােট ছােট ২০ টি লিখা মূলত সমরেশ মজুমদার এর জীবন স্মৃতি। কোনটাতে রয়েছে রাজনীতি, সমাজের বদলে যাওয়া চিত্র। যাকে তিনি সংস্কার বলেছেন। তাঁর এই লিখাগুলােতে কেমন যেন বিদায়ের সুর বেজে উঠেছে বারবার। ফিরে যেতে চেয়েছেন জলপাইগুড়ির ডুয়ার্সের চা বাগানে ফেলে আসা স্মৃতির কাছে। কিন্তু স্মৃতির উপাদানও যে পাল্টাচ্ছে সংস্কারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে। যেখানে যা ছিলাে তাও বদলে যাচ্ছে। তার লিখাগুলাে আমাকে ব্যথিত করছে।
দেলােয়ার হাসান