“গুরু জ্ঞানকোষ গুরু সহায়িকা” বইটির শেষের ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
“আমাদের ছিল জমিন, ওরা আসলাে বাইবেল হাতে। আমাদেরকে বলা হলাে চোখ বুজে প্রার্থনা করাে। আমরা তা-ই করতে থাকলাম। যখন; চোখ খুললাম, তখন দেখলাম ওদের বাইবেল আমাদের হাতে, আর আমাদের জমিন ওদের দখলে”- (জনৈক আফ্রিকান)। কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকানদের অনুরূপ দুর্দশায়ই আমরাও। আমাদের ছিল উর্বর মাটি, সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা ফসলের মাঠ। আমরা সুখী-শান্তিপূর্ণ ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সমৃদ্ধ ভাষা-সংস্কৃতি-সভ্যতার উত্তরাধিকারী। আমাদেরকে সংস্কৃত-আরবি-ফার্সি-উর্দু ও ভাষায়। মন্ত্র-তপ-জপ-যজ্ঞ প্রার্থনা-মুনাজাত শেখানাে হলাে। আমরা মণ্ডপমঠ-মন্দির-মসজিদ-খানকা বানিয়ে অন্ধের মতাে তাতে নিষ্ঠাবান হলাম। অবশেষে; চোখ খুলে দেখলাম; গুরু-পির-ইমাম নামে; সাধুবাবা, দয়ালবাবা, খাজাবাবা, সুফি, দরবেশ মাওলানারা আমাদের প্রভু; আর আমরা তাদের দাস।
গুরু চিনে, গুরুতে নিষ্ঠাবান হয়ে; সার্থক জীবনযাপনের মহান। উদ্দেশ্যে ‘গুরু জ্ঞানকোষ’ বলন কাঁইজির মহত্তম প্রচেষ্টা।
এ গ্রন্থটি বিশ্ববাসীর জন্য জ্ঞান-প্রদীপ, বাতিঘর; গুরুদেরও প্রশিক্ষণ সহায়িকা।
আশীব কাঁইজি