“কষ্টিপাথরের বুদ্ধমুর্তি রহস্য” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
নিউজ পেপারে বিজ্ঞাপন দেখেই চমকে উঠল প্রলয়। বাংলা আর ইংরেজি দুটো কাগজেই। রাজস্থানের হীরাপুর রাজ্যের সযত্ন রক্ষিত আর্ট গ্যালারি থেকে দৃষ্টিনন্দন কষ্টিপাথরের বুদ্ধমূর্তিটি কেউ বা কারা চুরি করে নিয়ে গেছে। ইতালীয় ভাস্কর জিওভানির অক্লান্ত পরিশ্রমে সৃষ্টি এই বুদ্ধমূর্তিটি বিশ্বের এক চোখধাঁধানাে সৌন্দর্য। বলাবাহুল্য এর পিছনে নিশ্চয় মূর্তি-স্মাগলারদের হাত রয়েছে। প্রায় তখনই অবসরপ্রাপ্ত সি. আই. ডি ইন্সপেক্টর | রাজীব সান্যালের সঙ্গে যােগাযােগ করল প্রলয়। শুরু হল সৌন্দর্যময় কষ্টি পাথরের বুদ্ধমূর্তিটি উদ্ধারের অভিযান। কলকাতা থেকেই দুই গােয়েন্দা এসে পৌছল প্রথমে জয়পুর, তারপর সেখান থেকে হীরাপুর। কিন্তু নাহ। হীরাপুরের মহারাজা তাদের জন্য আশ্রয় এবং পরিবহণের ব্যবস্থা দিতে চাইলেও গােয়েন্দা প্রলয় তাতে রাজি নয়। তাহলে যে রহস্যভেদী দুই গােয়েন্দার পরিচয় আগেই ফাস হয়ে যাবে। মহারাজা অবশ্য কাগজে ঘােষণা করেছেন, যে এই বুদ্ধমূর্তি উদ্ধার কিংবা তার সূত্রের হদিশ দিতে পারবে তিনি তাকে পাঁচ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেবেন। | হীরাপুর থেকে দুই গােয়েন্দা এসে পৌছল মরু অঞ্চলে, জয়সলমীরে। সেখানেই পাসপাের্ট আর কাস্টমসের আধিকারিকদের সহায়তা কাজে লাগল। বমালসুদ্ধ একবার বর্ডার পেরােলেই পাকিস্তানের মাটি। কিন্তু শেষপর্যন্ত প্রলয় কুমার আর প্রাক্তন সি. আই. ডি ইন্সপেক্টর কি সফল হয়েছিল বিশ্বনন্দিত মূর্তি উদ্ধারে ? প্রতিটি পাতায় উৎকণ্ঠা আর শিহরন। বর্ডার সিকিওরিটি ফোর্সের গুলি…