“ভালবাসার গল্প” বইয়ের পিছনের কভারের লেখা:
বিছানায় বসে কবি এই মুহূর্তটিকে চোখ, মন, সমস্ত স্নায়ু দিয়ে নিশ্চল করে নিতে চাইছেন। খুব বেশিদিন নয়, এখানে বইতে থাকবে কলকলানাে অস্থির জল।
ভুউ করে নাক তুলবে কুমির, অথবা প্রবৃদ্ধ কাছিম, জ্যোৎস্না খেলবে ঢেউয়ের মাথায়, ক্ষুধার্ত বাঘ নদী সাঁতরে হানা দেবে গৃহস্থের পাছ। দুয়ারে, অথচ জঙ্গলে প্রবেশের অধিকার আইনত রুদ্ধ, তাই ততদিন ক্ষুধার্ত মানুষ দেশান্তরী হয়ে গেছে, রাতের অন্ধকারে দরজায় ঝাপ ফেলে রয়ে গেছে অসংখ্য নারী, শিশু ও বৃদ্ধ…আঙিনার করচা ও তেঁতুলগাছ দুটি ডুবে গেছে জলে, নিমটি যেহেতু দীর্ঘ, তার মাথা, পত্রহীন ডালপালা জেগে আছে জলের উপর, নদীবাঁধের কাছে কালাে বাইনের গুড়িতে বেঁধে রাখা খিরিশ কাঠের মাছধরা নৌকাটি হয়তাে। ভেসে থাকবে কবির শােবার ঘরটির কাছে।
যেহেতু নদী তখন নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে বাস্তুভিটেখানিকে; কবিতার বইয়ের জীর্ণ পাতার নানা টুকরাে, পাণ্ডুলিপির অক্ষর বিলুপ্ত কাগজের পৃষ্ঠা ভাটার জলের সঙ্গে দক্ষিণে সরতে সরতে সমুদ্রের আদিগন্ত
বিস্তারে মিশে যাচ্ছে..।