কেন একজন নারী গােয়েন্দার আবির্ভাব ঘটালেন তাঁর গােয়েন্দা কাহিনিতে, সে-বিষয়ে বলতে গিয়ে তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন তিনি চাননি শার্লক হােমস, গােয়েন্দা পােয়ারাে, ব্যোমকেশ বক্সী বা ফেলুদার মতাে আর একটি পুরুষ চরিত্রকে গােয়েন্দা হিসেবে চিত্রিত করতে। বরং বাংলা সাহিত্যে যেহেতু কোনও বিখ্যাত নারী গােয়েন্দা নেই, তাই সেরকমই একটি চরিত্র। হবে তাঁর কাহিনির গােয়েন্দা। তাঁর মতে, বাঙালি মেয়েরা খুব তীক্ষ্ণ মেধাবী হন, মানুষের চোখ দেখলে ধরতে পারেন মানুষটি কেমন, তাছাড়া মেয়েদের বিশ্লেষণী শক্তিও অসাধারণ, অতএব ‘ঈর্ষার সবুজ চোখ’-এ সেই যে গােয়েন্দা হিসেবে আবির্ভাব ঘটল গার্গীর, তার পর একের পর এক ঘটনার মধ্যে প্রবেশ করে তার রহস্যভেদের পদ্ধতি মন জয় করে নিয়েছে অসংখ্য পাঠকের। গােয়েন্দা গাগী সমগ্র’-র চতুর্থ খণ্ডে আছে রবিবাসরীয়তে প্রকাশিত সেই বিখ্যাত ‘৭৭ সবুজ সরণি’ ও পরবর্তীকালে প্রকাশিত একটি ইমন সন্ধ্যা।