‘গ্রামে গ্রামান্তরে’ বইয়ের কিছু অংশঃ সকালে গ্রামের রূপটা ভালো লাগে বিধানের। গাছগাছালির বুকে পাখিগুলো কলরব করে, বাগানের আম জাম তেঁতুল গাছের সীমা পারে সবুজ খানিকটা উচু ডাঙ্গা, গরু চরে ওখানে, তারপরই নেমে গেছে ধান সিঁডি ক্ষেত। কাছিমের পিঠের মত নেমে গেছে ধানক্ষেত, নীচে বিরাট জলাধার। একটা কাঁদর-এর মুখে বিশাল বাঁধ দিয়ে বৃষ্টির জল ধরে রাখা হয়, বিস্তীর্ণ এলাকা জলে ভরে থাকে।
শরতের শুরু। সবুজ ধানক্ষেতে এসেছে ঘন সবুজের আভা। উপরের ক্ষেতের ধানগুলোয় রঙ ধরছে, সোনালী আভাস এসেছে। প্রথম শিশিরে ভিজে বাস ধানক্ষেত সব নরম নরম ভাব নিয়ে প্রথম আলোয় জেগে উঠেছে, সন্ঠ বুমভাঙ্গা শিশুর মুখের কোমলতা জাগে চারদিকে।
সুর্য উঠছে।
বিধান কলকাতার উপকণ্ঠে থাকে। এমনি ধানক্ষেত, শূন্য দিগন্ত সেখানে নেই। চারদিকে বাড়িঘর মাথা তুলেছে সেখানে।
এখানের বিস্তীর্ণ জলাধারের বুকে প্রথম সূর্য আবীরের রঙ নিয়ে গলে পড়ে, দিদার তাড়ায় চাইল বিধান। কামিনী ঠাকরুণ এই সকালেই বের হয়…..