ক্ষীরের পুতুল

৳ 160.00

লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
প্রকাশক কবি প্রকাশনী
আইএসবিএন
(ISBN)
9789849245988
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ৩২
সংস্কার 1st Published, 2018
দেশ বাংলাদেশ

“ক্ষীরের পুতুল” বইটির সম্পর্কে কিছু কথা:
ক্ষীরের পুতুল হল শিশুদের জন্যে একটা কল্প উপন্যাস যেটা অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৯৬ খ্রিষ্টাব্দে লিখেছিলেন। ক্ষীরের পুতুলকে একটা সেরা শিল্পকর্ম বলে মনে করা হয় এবং বাংলা ভাষায় শিশু সাহিত্যিকদের একটা বৈশিষ্ট্যপূর্ণ রচনাও বটে। চিনির পুতুল, দুয়োরানির ভাগ্য এবং এক চতুর ও অসাধারণ বানর সম্পর্কে ক্ষীরের পুতুল একটা সহজ এবং মর্মস্পর্শী গল্প। আদি ব্রাহ্মসমাজ প্রেস এই বইটা প্রথম প্রকাশ করেছিল। পরবর্তীকালে এটি অন্যান্য ভাষায় অনূদিত হয়।
দীপনগরের রাজার দুই রানি ছিল, একজন সুয়োরানি এবং অন্যজন দুয়োরানি। রাজা সুয়োরানিকে ৭টা প্রাসাদ, ৭০০ পরিচারিকা, ৭ রাজ্য থেকে সেরা অলঙ্কার, ৭টা উদ্যান এবং ৭টা রথ উপহার দিয়েছিলেন। তিনি দুয়োরানিকে অবহেলা করেছিলেন এবং তাকে একটা ভাঙা ঘর, একটা বধির ও বোবা দাসী, ছেঁড়া পোশাক এবং নোংরা বিছানা দিয়েছিলেন।

Abanindranath Tagore ৭ আগস্ট, ১৮৭১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন খ্যাতিমান ভারতীয় চিত্রশিল্পী, নন্দনতাত্ত্বিক এবং লেখক।তিনি প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের প্রপৌত্র এবং মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের তৃতীয় ভ্রাতা গিরীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৌত্র ও গুণেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কনিষ্ঠ পুত্র। সে দিক থেকে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার পিতৃব্য ছিলেন। পিতামহ ও পিতা ছিলেন একাডেমিক নিয়মের প্রথম ও দ্বিতীয় প্রজন্মের শিল্পী। এ সুবাদে শৈশবেই চিত্রকলার আবহে বেড়ে ওঠেন তিনি। ১৮৮১ থেকে ৮৯ পর্যন্ত সংস্কৃত কলেজে অধ্যয়ন করেন। ৮৯ সালেই সুহাসিনী দেবীর সাথে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন। ১৮৯০ এ গড়া রবীন্দ্রনাথের খামখেয়ালি সভার সদস্য হয়ে তিনি কবিতা পড়েছেন, নাটক করেছেন। ১৮৯৬ সালে কোলকাতা আর্ট স্কুলের সহকারী অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন। ভারতীয়দের মধ্যে তিনিই প্রথম এই মর্যাদা লাভ করেন। ১৯১১ সালে রাজা পঞ্চম জর্জ ও রানী মেরি ভারত ভ্রমণে এলে আর্ট গ্যলারি পরিদর্শনের সময় তাদেরকে ওরিয়েন্টাল আর্ট সম্পর্কে বোঝাবার দ্বায়িত্ব পান। ১৯১৩ সালে লন্ডনে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিত্রপ্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়, এবং তিনি ইংরেজ সরকারের কাছ থেকে সি আই ই উপাধী লাভ করেন। কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ডি-লিট প্রদান করে ১৯২১ সালে। ১৯৪২ সালে শিল্পীপত্নীর মৃত্যু হয়। ১৯৪১ থেকে ৪৫ পর্যন্ত শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর আচার্য রূপে দ্বায়িত্ব পালন করেন। অবনীন্দ্রনাথের চিত্রকলার পাঠ শুরু হয় তৎকালীন আর্ট স্কুলের শিক্ষক ইতালীয় শিল্পী গিলার্ডির কাছে। তার কাছে অবন শিখেন ড্রয়িং, প্যাস্টেল ও জলরং। পরবর্তীতে ইংরেজ শিল্পী সি এল পামারের কাছে লাইফ স্টাডি, তেলরং ইত্যাদি শিক্ষা অর্জন করেন। ভারতীয় রীতিতে তার আঁকা প্রথম চিত্রাবলি ‘কৃষ্ণলীলা-সংক্রান্ত’। এই রীতি অনুসারী চিত্রশিল্পের তিনি নব জন্মদাতা। প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা আনুমানিক ছাব্বিশ। গল্প কবিতা চিঠিপত্র শিল্প আলোচনা যাত্রাপালা পুথি স্মৃতিকথা সব মিলিয়ে প্রকাশিত রচনা সংখ্যা প্রায় তিনশ সত্তরটি। পিত্রব্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অণুপ্রেরণায় লেখালেখির সূত্রপাত। কবিগুরু ‘বাল্য গ্রন্থাবলী’র কর্মসুচী শুরুর প্রাক্কালে বলেছিলেন, ছোটদের পড়বার মত বই বাংলাভাষায় বিশেষ নেই। এ অভাব আমাদের ঘোচাতে হবে। তুমি লেখ।তিনি ১৯৫১ সালে ৫ই ডিসেম্বর কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন →
বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ