“হঠাৎ দেখা” বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ
নীললােহিত এক আশ্চর্য যুবা যার বয়স কোনদিন সাতাশের বেশি হয় না। সে জন্ম-বাউণ্ডুলে, চাকরি করে না, দাদার হােটেলে খায় আর আত্মীয়-স্বজনদের গালমন্দ সহ্য করে। মায়ের আদরের নিলু । হঠাৎ দেখা নীললােহিতের এক অনুপম উপন্যাস যেখানে কয়েকটি চরিত্র তাদের পারিপার্শ্বিকতা নিয়ে উঠে এসেছে।
প্রধানত মণীশ ও নীললােহিতের অ্যাডভেঞ্চার এ কাহিনির উপজীব্য। টাকা ফুরােবার আগেই তারা বাড়ি ফিরে এসেছিল। বিশেষত ছারপােকার অত্যাচারে তারা বড় মনমরা হয়ে পড়েছিল। তাদের দু’জনের বাড়িতে অবশ্য অভ্যর্থনা হয়েছিল দু’রকম। মণীশ যে নিজে থেকেই আবার ফিরে এসেছে, এতেই তার বাড়ির লোেক এত খুশি হয়ে গেল যে তাকে একটুও বকুনি দিল না, বরং তার আদর-যত্ন বেড়ে গেল। আর নীললােহিত বাড়ির লােককে অকারণ দুশ্চিন্তায় ফেলেছিল বলে বাবার হাতে প্রচণ্ড মার খেল।
কিন্তু তারপরে যতবারই তাদের ঐ ব্যর্থ অ্যাডভেঞ্চারের কথা নীললােহিত ভেবেছে, ততবারই তার মনে পড়েছে সেই ইজের পরা ছেলেটির কথা। নদীর দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে ছেলেটি, মা-আ-আ বলে কাঁদছিল, কী অসম্ভব করুণ সেই আর্তনাদ! নীললােহিত তার বন্ধুর সঙ্গে শখ করে বাড়ি থেকে পালাতে গিয়েছিল, আর ঐ ছেলেটিকে তার বাড়ির লােকই ফেলে পালিয়েছে! কী মর্মন্তুদ সেই কাহিনি…