“তবুও টুনটুনি তবুও ছোটাচ্চু” “রাত্রিবেলা বাসায় খুবই উত্তেজনা। অনেক দিন পর বাসায় এ রকম উত্তেজনা হয়েছে। ছোটাছু একটা চেয়ারে পিঠ সোজা করে বসে। আছে। তার মোটামুটি বিধ্বস্ত চেহারা। বড় চাচা ঘরে পায়চারি করছেন, একটু আগে অনেক কষ্ট করে বড় চাচা ছোটাছুকে হাজত থেকে ছুটিয়ে এনেছেন ।…”
ছোটাছুর জীবনটি হঠাৎ করে ভিন্ন এক দিকে মোড় নিয়েছে। এই বইটি সেই ভিন্ন। ছোটাছুর ভিন্ন জীবনের গল্প।
ভূমিকা আমি যখন টুনটুনি ও ছোটাছু নিয়ে লিখতে শুরু করেছিলাম তখন একবারও ভাবিনি যে এদের নিয়ে দ্বিতীয় একটি বই লেখা হবে। এখন সবিস্ময়ে আবিষ্কার করছি, শুধু দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় নয়, চতুর্থারও লেখা হয়ে গেছে। বলা বাহুল্য, আমার এই লেখালেখি করার কারণ হচ্ছে পাঠকদের চাপ। পাঠকেরা যদি কমবয়সী শিশুকিশোর হয়, তাদের চাপ অত্যন্ত কঠিন, সেখান থেকে বের হয়ে আসা সোজা কথা নয়! আরো লিখতে হবে কি না জানি না-যদি লিখেও ফেলি, সেই বইয়ের নাম কীভাবে দেব?
‘বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ত্রাতিনা’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ
ত্রাতিনা চিৎকার করে জিজ্ঞেস করল, “আমি কোথায়?” তার কণ্ঠস্বর দূরে মিলিয়ে গেল তারপর প্রতিধ্বনিত হয়ে আবার ফিরে এল, আমি কোথা….. আমি কোথায়….
খুব ধীরে ধীরে প্রতিধ্বনিতগুলো মিলেয় যেতে থাকে। তারপর এক সময় আবার সেই নৈঃশব্দ্যের শূন্যতায় ডুবে যায়।
ত্রাতিনা আবার চিৎকার করল, “আমি কোথায়?” তার চিৎকার বহু দূর থেকে প্রতিধ্বনিত হয়ে ফিরে আসে, প্রতিধ্বনিত শব্দগুলো ধীরে ধীরে মিলিয়ে যেতে থাকে। শব্দগুলো মিলেয়ে যেতে যেতে আবার নূতন করে অনুরণিত হয়, ত্রাতিনার মনে হয় সে বুঝি কারো কণ্ঠস্বর শুনতে পেয়েছে। স্পষ্ট বোঝা যায় না, কিন্তু কোনো এক ধরনের কণ্ঠস্বর। মনে হয় কেউ কিছু একটা বলছে।
‘সাইক্লোন’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ সন্ধ্যেবেলা থেকে ঝড়ের বেগ বাড়তে লাগলো। প্রথম দিকে এটা দমকা হাওয়ার মতো ছিল, আস্তে আস্তে সেটা সত্যিকার ঝড় হয়ে গেল। বাতাসটা পুব দিক থেকে পশ্চিমে বইছে। বিজলী বারান্দায় দাঁড়িয়ে বািইরে তাকায়। নিশ্চয়ই আজ পূর্ণিমার রাত, আকাশের মেঘ ফুটে চাঁদের আলো ছড়িয়ে পড়ছে। চারিদিকে কেমন যেন একটা অপার্থিব আলো। সেই আলোতে সবকিছু কেমন যেন অবাস্তব স্বপ্নের মোত দেখায়। বাতাসের এক ধরনের শ্বদ শোনা যায়, শীষ দেওয়ার মতো শ্বদ । শব্দটা কোথা থেকে আসে কে জানে। সেই শব্দ ছাপিয়ে মাঝে মাঝে সমুদ্রের গর্জন শোনা যেতে থাকে। বিজলী বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখতে পেলো বাতাসের প্রচণ্ড আঘাতে গাছগুলো কেমন যেন মাথা কুটছে। বাড়ির সামনে নারকেল গাছের পাতাগুলো ঝাপটে পড়ছে, পুরো গাছটাই মাঝে মাঝে নুইয়ে পড়ছে। বিজলীদের বাড়িটা বাতাসে থরথর করে কেঁপে উঠছে, মনে হয় যেকোনো সময় বুঝি উড়ে যাবে।
“বড় হবে ঝিলমিল” ফ্ল্যাপে লিখা কথাঃ ঝিলমিল কখন বড় হবে সে জন্যে আর অপেক্ষা করতে পারছে না। বড় হয়ে সে কী হবে সেটা নিয়ে তার অবশ্যি কোনো সমস্যা নেই। ঝিলমিল ঠিক করেছে বড় হয়ে সে এক সাথে সবকিছু হয়ে যাবে। কিন্তু এক সাথে কী সবকিছু হওয়া যায়?
“বনের রাজা ব্যাঙ” বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা:
তােমরা কি জান বনের রাজা কে ?
তােমরা মনে করতে পার যে, বনের রাজা বুঝি সিংহ কিংবা বাঘ। কিংবা হাতি কিংবা গণ্ডার কিংবা ভালুক। আসলে কিন্তু এরা কেউ বনের রাজা নয়, বনের রাজা হচ্ছে ব্যাঙ। ব্যাঙ অবশ্যি সবসময়ে বনের রাজা ছিল না, সে কেমন করে বনের রাজা হলাে এখন আমি তােমাদের সেই কাহিনীটা শােনাব।
‘বিগ ব্যাং থেকে হোমো স্যাপিয়েনস’ বইটির ফ্ল্যাপের কথাঃ
মহাবিশ্বের বিলিওন বিলিওন গ্যালাক্সির সাধারণ একটা গ্যালাক্সির। ‘ নাম ছায়াপথ, সেই গ্যালাক্সির সাদামাটা একটা নক্ষত্রের নাম সূর্য, সেই সূর্যের ছোট একটি নীল গ্রহের নাম পৃথিবী। সেই পৃথিবীর বাসিন্দার নাম মানুষ, তাদের মাথার দেড় কেজি ওজনের মস্তিষ্কটি ব্যবহার করে তারা বের করে ফেলেছে এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড কেমন করে সৃষ্টি হয়েছে!
বইটির সারংশঃ এই বইটি লেখেছেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তিনি একজন বাংলাদেশী লেখক, পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ। তিনি বর্তমানে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের একজন অধ্যাপক এবং তড়িৎ কৌশল বিভাগের প্রধান।বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড গড়ে তোলার পিছনে তাঁর অসামান্য অবদান রয়েছে।
এই বইটিতে সম্পুর্ণ বিশ্বব্রহ্মাণ্ড থেকে আজকের মানুষ পর্যন্ত বিবর্তনের বিষয় গুলো তুলে ধরা হয়েছে, যেহেতু এই বইটি মাত্র ৫৬ পৃষ্ঠার এবং বিশ্বব্রহ্মাণ্ড থেকে আজকের মানুষ এইটি প্রায় ১৩.৮ বিলিওন বছরের বেশি সময় যা এই বইটিতে খুব সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হয়েছে, সেটি বলা যেতে পারে কিন্তু অনেক বিষয়ের কথা তুলে ধরা হয়েছে যা এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সম্পকে জানার প্রাথমিক ধারণা দিতে পারবে। এছাড়াও এই থেকে বিভিন্ন ছোট ছোট তথ্য যেমন ইনফ্ল্যাশান-এ ১০টু দি পাওয়ার -৪১ সেকেন্ড পার হওয়ার আগে ব্যবহার করার মত বিজ্ঞান এখনো বের হয়নি, ৫ বিলিওন বছর আগে মিল্কিওয়ে (ছায়াপথ) গ্যালাক্সিতে মহাজাগতিক ধুলাবালি আর গ্যাস থেকে নন্ম নিল একটি নেবুলা। এই নেবুলার ভরের শতকরা ৯৯.৯ ভাগ কেন্দ্রে জমা হলো। মহাকর্ষের আকর্ষণে প্রচণ্ড চাপে বেড়ে শুরু হলো নিউক্লিয়ার ফিউসান এবং জ্বলে উঠল সূর্য!, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের মোট ভরের শতকরা ৬৩ ভাগ ছিল ডার্ক ম্যাটার!, সৌর জগতের ৩য় এই নীলাভ গ্রহটি অন্য সব গ্রহ থেকে আলাদা, সব থেকে রহস্যময়, সব থেকে বৈচিত্র্যময়। তার কারণ শুধু এই গুহটিতে চার বিলিওন বছর আগে প্রাণের বিকাশ হয়েছিল, মানুষ কখনো বানর হতে বিবর্তিত হয়ে হয়নি, মানুষের অনেকগুলো প্রজাতি জন্ম হয়েছিল ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় এই বই থেকে জানা যাবে, যা এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সম্পকে আমাদের জ্ঞানের পরিধি আরো বৃদ্ধি করবে হবে আমার মনে হয়।