“নববী আদর্শের আলোকে সুখময় জীবনের সন্ধানে” বইটির শেষের ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
জীবন বহুমুখী দক্ষতার সমষ্টির নাম। যুগে যুগে যারা এ সকল দক্ষতাকে কাজে লাগিয়েছেন তারাই হয়েছেন সফল, পেয়েছেন সুখময় জীবনের সন্ধান। আর সফল ব্যক্তিদের কাতারে সকলের শীর্ষে যার নাম তিনি হলেন সায়্যিদুনা রাসূলে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তাঁর পবিত্র জীবনের পরতে পরতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সফলতার ঘটনাবলীকে এক মলাটে আনার দীর্ঘ প্রচেষ্টার ফসল এই ‘সুখময় জীবনের সন্ধানে’।
গ্রন্থটি এক মাস কিংবা এক বছরের পরিশ্রমের ফল নয়, বরং সুদীর্ঘ বিশ বছরের অধ্যয়ন ও পর্যবেক্ষণের নির্যাস, উপলব্ধি ও অভিজ্ঞতার ফসল। এর বাক্যগুলাে কলমের কালিতে নয়, খুনরাঙা হরফে লেখা। এর প্রতিটি শব্দে, শব্দের পরতে পরতে গেঁথে আছে আমার অন্তর, আমার অন্তর-ধ্বনি। স্মৃতির নির্যাসে তৈরি এর একেকটি বাক্য, বাক্যমালা। বিশ্ব মানবতার মহান শিক্ষক মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র জীবনের টুকরাে টুকরাে। ঘটনা দিয়ে সাজানাে হয়েছে এর প্রতিটি অধ্যায়। এতে তুলে ধরা হয়েছে মানুষের সাথে আচরণ ও স্বার্থক জীবন যাপনের ক্ষেত্রে নবীজীর অসামান্য। দক্ষতা ও অভাবনীয় কৌশলের কথা।
এতে আছে আমার জীবনের বিভিন্ন স্মৃতি, বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং নানা পরিস্থিতির বিবরণ, যেগুলাে এ গ্রন্থেই আমি প্রথম উল্লেখ করেছি। ইনশাআল্লাহ গ্রন্থটি অধ্যয়নে পাঠক উপকৃত হবেন।
আমার হৃদয় নিংড়ে বের হয়েছে এর প্রতিটি শব্দ। আশা করি, আপনার হৃদয়ঝিল্লিকে তা স্পর্শ করবে। আমার লিখিত গ্রন্থাবলীর মধ্যে আমার সবচে প্রিয়, সবচে মূল্যবান গ্রন্থ এটি। মহান আল্লাহ রাব্বল আলামীনের কাছে শুধু এই মিনতি, তিনি যেন গ্রন্থটিকে কল্যাণকর করেন, কবুল ও মকবুল করেন। এ মূলবান গ্রন্থটি প্রকাশে যারা সহায়তা করেছেন, আল্লাহ যেন তাদের সবাইকে দান করেন আজরে আযীম ও মহা পুরষ্কার। আমীন।