“ধূসরের রং” বইটির ফ্ল্যাপের কথাঃ
স্বীকার করতেই হবে আপনার সমস্যাটা বেশ জটিল। যখন থেকে আপনার এই সমস্যার শুরু যদি বলি ঠিক তখন থেকে আপনার জীবন চলছে কনসাস মাইন্ডে। কোনাে কারণে সেই মুহূর্তে আপনার সাব কনসান্স মাইন্ড ধ্বংস হয়ে গেছে বা অকার্যকর হয়ে গেছে। আপনার জীবন চলছে কনসান্স মাইন্ডে… Subconscious Mind is like a huge memory bank… কিন্তু এখন আপনার আর কোনাে মেমরি ব্যাংকই নেই মানে মেমরি তৈরি হচ্ছে না। আপনার স্মৃতি তৈরি হচ্ছে না বলেই আপনি ভুলে যাচ্ছেন সবকিছু, বারবার নােটবইয়ে লিখে রাখতে হচ্ছে। মােবাইলে ছবি তুলে রাখতে হচ্ছে। সাইকিয়াট্রিস্ট কফির কাপে শেষ চুমুক দিলেন। চলুন বিষয়টা নিয়ে আরেকটু ডিটেইলে কথা বলি…
ভূমিকাঃ
একটা ভূতের উপন্যাস লিখব ভেবে এই গল্পটা শুরু করেছিলাম। তারপর কোথা থেকে যে কী হয়ে গেল! গল্পের নানান ডালপালা গজিয়ে ‘মেটা ফিউশন টাইপের একটা কিছু দাঁড়াল বলে মনে হচ্ছে। আমি একজন কার্টুনিস্ট হয়ে বিপদ হয়েছে। কার্টুন কমিকসের বিষয়গুলাে সবসময় মাথায় ঘােরে… কার্টুন কমিকসে ‘হাইপার কমিকস’ নামে একটা বিষয় আছে। এটা এক ধরনের ‘ওয়েভ কমিকস’ এই কমিকস সাধারণ কমিকসের মতাে নয়। এর একটা মূল ঘটনা থাকে তারপর চারদিকে চারটা ভিন্ন ঘটনা নিয়ে গল্প এগােতে থাকে। আবার সেই চারটা ডালপালা থেকে আবার নতুন নতুন গল্প গজাতে থাকে। আমার এই কাহিনিতেও সেইরকম একটা ব্যাপারই ঘটেছে মনে হচ্ছে। আসলে যারা কার্টুন কমিকস, গ্রাফিক নভেল নিয়ে মাথা ঘামায় তারা বুঝতে পারবে সমস্যাটা কোথায়! তারপরও এই গল্পে সায়েন্স ফিকশন, ভূত ফিউশন সবই আছে! বাকিটা পাঠকের উপর।