৬ বছরের মেয়ে ডােনা। নদীর নীচে গভীর পানিতে সাঁতরে বেড়াচ্ছে। তাকে অ্যাকোয়া বানানাে হয়েছে। তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন জলজ প্রাণী অ্যাকোয়া। বিবর্তনের ধারাবাহিকতায় ১০ কোটি বছর আগে তাদের জন্ম। পানির নীচে অ্যাকোয়ার নিজস্ব জগত। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে প্রায় লুপ্ত হতে চলেছে অ্যাকোয়া জাতি। টিকে থাকার জন্য তারা ডুবে যাওয়া মানুষদের অ্যাকোয়া বানাতে শুরু করেছে। মেঘনায় লঞ্চ ডুবে গেল। মায়ের সঙ্গে ডুবে গেছে ডােনা। তাকে অ্যাকোয়া বানানাের সময়। তার ব্রেইনের নিউরনে অ্যাকোয়ার সহজাত প্রবৃত্তি আর কিছু অভিজ্ঞতা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তার ব্রেইন সেলে আগের স্মৃতিও থেকে গেছে। ডােনা হয়ে উঠেছে অ্যাকোয়া-মানুষ। অ্যাকোয়া ডাক্তার নানা খারাপ মতলব করেছে। সে ডােনাকে রাক্ষুসে প্রাণীতে পরিণত করবে। যে লড়বে হিংস্র সামুদ্রিক হাঙরের সঙ্গে। এই ঘটনা জেনে ফেলেছে কাকা। সে ডােনাকে নিয়ে অনেক দূরে চলে যেতে চেয়েছে। ডােনা ফিরে যেতে চায় ডাঙায়। সে তার ভাইয়ের কাছে ফিরতে চায়। ডােনা ফিরে যেতে পারে না। তার ফুসফুস পুরােপুরি ফুলকায় রূপান্তরিত হয়ে গেছে। ডােনা জানে না কোনােদিন আর সে ডাঙায় ফিরতে পারবে কিনা। বিজ্ঞান আর কল্পনা মিশিয়ে লেখা উপন্যাস অ্যাকোয়া। ছােট দুই ভাই বােনের কাছে আসার প্রবল আকুতির গল্প । সাহসে ভর করে মানুষকে জীবনের পথে নিয়ে যাওয়ার অসামান্য সৃষ্টি।