“প্রাচীন সাহিত্য/প্রবীণ সাহিত্য” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা একটি মিতকায় বই প্রাচীন সাহিত্যের কথা কে না জানেন? এরই একটি প্রবন্ধে তিনি লক্ষণ-পত্নী উর্মিলাকে কবি-পাঠকের অবহেলা থেকে উদ্ধার করে এনেছেন। একটি প্রবন্ধ এক অবহেলিত পানের খিলি এগিয়ে দেবার সামান্যকর্মে নিরতা এক বালিকাকে সহানুভূতির আলােকে উজ্জ্বল করেছেন। কিন্তু এই প্রাচীন সাহিত্যের নিবন্ধনিচয় ছাড়া প্রাচীন ও মধ্যযুগ- যাকে আমরা প্রবীণ যুগের সাহিত্য বলতে চেয়েছি- সেকালে লেখা প্রচুর উপকরণ ইতস্তত ছড়িয়ে ছিল— কবি বিভিন্ন সময়ে সেই রামায়ণ-মহাভারত-পুরাণ-গাথা-ইতিকথা থেকে সংগ্রহ করে আরও বহুতর কাব্য ও কাব্যোচিত ভাবনার লিখিত উপাদান রেখে গেছেন। তাদেরই অনুপুঙ্খ অনুসন্ধানে উদ্ধারপ্রাপ্ত সেইসব রচনাও এখানে উদ্ধার করে দুটি মলাটের মধ্যে মণিমঞ্জুষার নির্মাণ ঘটেছে। ফলে প্রাচীন-প্রবীণের নবসৃষ্টিকর্তা রবীন্দ্রনাথকে এই প্রথম তার রচনা-সম্পূর্ণতায় পাঠকের করায়ত্ত হল। এ এক সুদুর্লভ সংগ্রহ, এক নতুন রবীন্দ্রবিনির্মাণ। প্রখ্যাত প্রাবন্ধিকের পরিশ্রম, নিষ্ঠা একত্রিত এখানে; যাবতীয় পাঠকের অনিবার্য দৃষ্টিপাতে ধন্য এই মহাগ্রন্থ।