শেষ বয়সে বিয়ে করা বড় লােকের বউটি সন্তান প্রসব করেছে। তিনি তার সাথে কাকের গল্প শােনাচ্ছেন, একটু আধটু হাসাহাসিও করছেন, কিন্তু তার খটকা (পাঠকেরও) যায় না। তিনি জানতে পারেন, সারথীর সন্তানটির পিতা তিনি নন। গল্পের শেষ তিনটি স্তবক এমন,
‘সারথি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। যে সত্যকে লুকিয়ে ফেলতে চেয়েছেন তা সম্ভব হয়নি। এখন কী করবে সে? অল্প বয়সের প্রেম যে তার এত বড় ক্ষতি করবে তা কে জানতাে? কে জানতাে যে ছেলেকে ভালােবাসত সে তাকে ধোঁকা দেবে। ‘সারথি মাথা নিচু করে অঝােরে কাঁদছে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে বাইরে। আর একটু পরেই পৃথিবী অন্ধকার হয়ে যাবে। সে অন্ধকারে আস্তে আস্তে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে তার অশ্রু। সারথি শ্যেন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ইরতাজ উদ্দিন আহমেদের দিকে। অজানা একটা ভয়, অজানা একটা আশঙ্কায় হৃদয় দুলছে তার।
‘ইরতাজ উদ্দিন সারথীর দিকে তাকালেন। তার চোখে জল। তিনি তার কপালে হাত রাখলেন। সারথি কাদছে। হঠাৎ দমকা একটা হাওয়া ছুয়ে গেল তাদের। ইরতাজ উদ্দিন বললেন, আমি কাক নই, আমি মানুষ।