কাক

৳ 200.00

লেখক আহমেদ ফারুক
প্রকাশক প্রিয়মুখ
আইএসবিএন
(ISBN)
9879848078044
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ১১২
সংস্কার 1st Published, 2019
দেশ বাংলাদেশ

শেষ বয়সে বিয়ে করা বড় লােকের বউটি সন্তান প্রসব করেছে। তিনি তার সাথে কাকের গল্প শােনাচ্ছেন, একটু আধটু হাসাহাসিও করছেন, কিন্তু তার খটকা (পাঠকেরও) যায় না। তিনি জানতে পারেন, সারথীর সন্তানটির পিতা তিনি নন। গল্পের শেষ তিনটি স্তবক এমন,
‘সারথি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। যে সত্যকে লুকিয়ে ফেলতে চেয়েছেন তা সম্ভব হয়নি। এখন কী করবে সে? অল্প বয়সের প্রেম যে তার এত বড় ক্ষতি করবে তা কে জানতাে? কে জানতাে যে ছেলেকে ভালােবাসত সে তাকে ধোঁকা দেবে। ‘সারথি মাথা নিচু করে অঝােরে কাঁদছে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে বাইরে। আর একটু পরেই পৃথিবী অন্ধকার হয়ে যাবে। সে অন্ধকারে আস্তে আস্তে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে তার অশ্রু। সারথি শ্যেন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ইরতাজ উদ্দিন আহমেদের দিকে। অজানা একটা ভয়, অজানা একটা আশঙ্কায় হৃদয় দুলছে তার।
‘ইরতাজ উদ্দিন সারথীর দিকে তাকালেন। তার চোখে জল। তিনি তার কপালে হাত রাখলেন। সারথি কাদছে। হঠাৎ দমকা একটা হাওয়া ছুয়ে গেল তাদের। ইরতাজ উদ্দিন বললেন, আমি কাক নই, আমি মানুষ।

Ahmed Faruq
নিজেকে সুখী মানুষ ভাবতে ভালোবাসেন। লেখেন ইচ্ছে হলে, ইচ্ছে না হলে কিছুই লেখেন না। স্বপ্ন দেখেন “লাইটহাউজ” নামক এক মিলনকেন্দ্রের। যেখানে কিছু নিঃস্ব মানুষের গল্প লেখা হবে। ছোটবড় মিলে বই লিখেছেন ২৭। ছোটগল্প লিখেছেন সবচেয়ে বেশি। ‘কাক” তার লেখা সবচেয়ে জনপ্রিয় গল্পগ্রন্থ। এ ছাড়াও লিখেছেন উপন্যাস, গল্প এবং নাটক। প্রচারবিমুখ নিভৃতচারী এই কথাসাহিত্যকের জন্ম ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৮। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে পুরোদমে লেখালেখি আর প্রকাশনার সাথে যুক্ত। বাবা মরহুম সামছুল হক ছিলেন কৃষিবিদ। মা ফাতেমা খাতুন, স্ত্রী জেবা, মেয়ে নাবা এবং পুত্র অবনীলকে নিয়েই তার যাপিত জীবন।


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন →
বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ