“কিশোর মুসা রবিন: পঞ্চরোমাঞ্চ” বইয়ের পেছনের কভারে লেখা:
কালাে শক্তি স্কটল্যান্ডের প্রায় তিনশাে বছরের পুরানাে দুর্গে রহস্যের সমাধান করতে চলল তিন গােয়েন্দা কিশাের মুসা রবিন। দুৰ্গটা বানিয়েছিল কুখ্যাত জলদস্যু লর্ড ব্যানকবার্ন। লােকে বলে , দুর্গ ঘিরে রয়েছে ডাইনীর অভিশাপ, আর ভিতরে বাস করে কয়েকশাে বছরের পুরানাে এক ভূত। প্রথমে বিশ্বাস করল না গােয়েন্দা প্রধান কিশাের পাশা, তারপর যা ঘটতে শুরু করল, কল্পনাকেও হার মানায়। অজানা আতঙ্ক। ডেথ সিটিতে গরমের ছুটি শেষ। স্কুল খুলেছে। নতুন একটা ছেলের সঙ্গে পরিচয় হলাে কিশােরদের। লাঞ্চ পিরিয়ডে রহস্যময়ভাবে নিখোঁজ হয়ে গেল ছেলেটা। স্কুলের নতুন সাইন্স টিচারও খুব রহস্যময় আচরণ শুরু করলেন। রােডার ধারণা, ববকে খেয়ে ফেলেছেন তিনি। কারিনা ও রােডাকে নিয়ে তদন্তে নামল গােয়েন্দা কিশাের মুসা রবিন। অদ্ভুত, অবিশ্বাস্য এক রহস্যের মুখােমুখি হলাে।
চিলেকোঠার ভূত হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেল । অন্ধকার হয়ে গেল পাড়াটা। ভূতুড়ে লাগল মেঘে ঢাকা চাঁদের ঘােলাটে আলাে। চিলেকোঠায় ঢুকে মােম জ্বালল জুলিয়া। খােলা দরজা দিয়ে এক ঝলক দমকা বাতাস এসে ঝাপটা মেরে নিভিয়ে দিয়ে গেল মােম। বুকের কাপুনি বেড়ে গেল ওর কানের কাছে ফোস করে দীর্ঘশ্বাস ফেলল কে যেন ঘরের ভেতর এক ধরনের ফ্যাকাশে আলাে। গলায় একটা শীতল স্পর্শে চমকে গেল সে। সাঁড়াশির মত আঙুল! চাপ বাড়ছে ক্রমে। শ্বাস নিতে পারছে না। গলা থেকে আঙুল ছাড়ানাের আপ্রাণ চেষ্টা করল। অদ্ভুত ট্রাংকটায় পা লেগে বিচিত্র শব্দ হলাে। মাথার মধ্যে অসংখ্য লাল-নীল তারা ফুটতে থাকল যেন। টলে পড়ে গেল সে।
নেকড়ে রহস্য আবার মনস্টার উড লেকে বেড়াতে এল তিন গােয়েন্দা কিশাের মুসা রবিন। ক্যাম্পে পৌছতেই বিকট গর্জন করে উঠলেন জাফর স্যার। রাতের বেলা জঙ্গলে বেরােনাে নিষেধ। মুসা বলল, “মিস্টার উলফ মায়ানেকড়ে হয়ে গেছেন! দিনের বেলা মানুষের রূপ ধরে থাকেন, রাতে হয়ে ওঠেন ভয়ঙ্কর পিশাচ। কিন্তু মানতে নারাজ কিশাের। নেকড়ের গর্জনের রহস্য সমাধানে ঝাপিয়ে পড়ল ও।
ব্যাঙের অভিশাপ কেউ হাত দেখাতে গেলেই খালি ভয় দেখায় ওই জ্যোতিষ। হিমালয় থেকে নাকি ব্যাটা সিদ্ধি লাভ করে এসেছে। এমন ভয় দেখানাে দেখায়, ও যা বলে লােকে তখন তাই করতে বাধ্য হয় লােকে। জটিল এক রহস্যের সমাধানে ঝাপিয়ে পড়ল কিশাের গােয়েন্দারা।