রূপকথায় পরীরা নেমে আসে আকাশ থেকে। আর আমাদের গল্পের নায়ক অরুণের জীবনে পরী আসে এক মাঝরাতে । পাল্টে যায় তার আটপৌরে জীবন । ফটোজার্নালিস্ট অরুণ দৌড়াতে থাকে। অর্থ, ক্ষমতা আর বিকৃতির বাইরে নিয়ে যেতে চায় তাদের স্বপ্নকে । এতটুকু পড়ে মনে হতে পারে এ বুঝি আরও একটি ছকে বাধা উপন্যাস । কিন্তু এ ভুল ভেঙ্গে যায় দ্রুতই, যখন উন্মােচিত হতে থাকে নতজানু বুদ্ধিজীবীর ধাপ্পাবাজী, মিডিয়ার চামচামি, সুবেশধারীর নগ্ন লালসা। আর এসবের বিপরীতে দেখা যায় দেশের প্রতি, মানুষের প্রতি অতি সাধারণ মানুষের ভালােবাসা। ক্ষতবিক্ষত অরুণ যখন তার ছােটবেলার শিক্ষককে বলে, “এখন শিক্ষকরা ব্যবসা করে, ব্যবসায়ীরা রাজনীতি করে, ডিগ্রীধারীরা এনজিও করে, মিডিয়া মিথ্যা বলে, আমলারা ঘুষ খায়, পুলিশ দেশ চালায়-”, তখন যেন এটি আর নিছক কোন প্রেমের উপন্যাস থাকে না, হয়ে ওঠে। এই সময়ের এক দলিল ।। প্রেম আর দ্রোহের এই সব কথা একবার পড়তে শুরু করলে শেষ না করে উঠতে ইচ্ছা করবে না। ফেরদৌস হাসানের লেখার ম্যাজিকটা বােধকরি এখানেই।