কাশ্মীর টু জেরুজালেম বইটির নামকরণ দেখে বিষয়বস্তু অনুমান করতে কষ্ট হয় না। বইটিতে মূলত অমুসলিম দেশে বসবাসকারী মুসলমানদের মুক্তিসংগ্রাম এবং মুসলিম নির্যাতন নিয়ে আলােচনা করা হয়েছে। এতে কাশ্মীর থেকে জেরুজালেম পর্যন্ত মুসলিম বিশ্বের সংকটগুলােকে অগ্রাধিকার দেয়া হলেও অন্যান্য অঞ্চলে বসবাসকারী মুসলমানদের মুক্তিসংগ্রামকে উপেক্ষা করা হয়নি। আজকের পৃথিবীতে মুসলমান ছাড়া আর কোনাে জাতি স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ে নিয়ােজিত নয়। তাই মুসলিম স্বাধীনতাকামী জাতি ও সংগঠনগুলােকে পাইকারীভাবে ‘জঙ্গি’ ও ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে গালি দেয়া হয়। অমুসলিমরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা যুদ্ধে লিপ্ত থাকলে। ‘এ ধরনের গালি দেয়া সম্ভব হতাে না। তাহলে অমুসলিমরাও এ গালির আওতায় এসে যেত। তাদের ভাগ্য ভালাে যে, পৃথিবীর সবগুলাে শক্তিশালী রাষ্ট্র অমুসলিম। তারাই পৃথিবীর নিয়ন্তা এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো ক্ষমতার অধিকারী। ভেটো ক্ষমতার জোরে তারা চরম অন্যায় করে পার পেয়ে যাচ্ছে। দানবীয় শক্তি। প্রয়ােগে মুসলমানদের মুক্তিসংগ্রাম দাবিয়ে রাখছে। শক্তিশালী অমুসলিম রাষ্ট্রগুলােকে চ্যালেঞ্জ করার মতাে কোনাে মুসলিম শক্তি নেই। মুসলিম দেশগুলাে হলাে দুর্বল এবং প্রত্যেকে তৃতীয় বিশ্বের সদস্য এমনি এক ভারসাম্যহীন পৃথিবীতে মুসলমানদের বসবাস। আলােচ্য বইটিতে পৃথিবীর এ নির্মম চিত্রই ফুটিয়ে তােলা হয়েছে। কান পাতলে কাশ্মীর থেকে জেরুজালেম এবং ককেশাস অঞ্চলে চেচনিয়া থেকে বলকান অঞ্চলের বসনিয়া। ও কসােত পর্যন্ত মুসলমানদের কান্না শােনা যায়। বইটির প্রতিটি ছত্রে এ অনুরণন লক্ষ্য করা যায়।