“কিশোর কবিতা চয়ন” ফ্ল্যাপের লেখা:
কিশাের কবিতা আমার হৃদয়ে দোলা দিয়েছিল সেই ছেলেবেলাতেই। পাঠ্যপুস্তকে কবিতা পড়তে পড়তে কবি হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম। বাড়ির পাশে ছিল পাখির কাকলি মুখর এক বন। যাকে বলতাম দক্ষিণের বাগান। ছায়াময়-মায়াময় সেই বনে ঘুরতে ঘুরতে ঘুঘুর ডাক শুনতাম। সেই করুণ সুর ভুলব না কোনাে দিন। অন্যান্য পাখির ডাক শুনেও মুগ্ধ হতাম।। বসন্তে কি গ্রীষ্মে উদ্দাম বাতাসে আন্দোলিত হতাে বনের গাছগাছালি। পাশেই ফসলি মাঠ। নিসর্গের এসব অপরূপ দৃশ্য দেখে দেখে কেটেছে আমার ছেলেবেলা। পাঠ্যপুস্তকের কবিতায় নিসর্গের ছবি দেখে বিস্মিত হতাম। ভাবতাম, কবি কেমন করে পারেন এমন হৃদয় কেড়ে নেওয়া ছবি আঁকতে। উচ্চবিদ্যালয়ে পড়তে পড়তে আমি কবিতা লিখতে শুরু করি। কিশাের কবিতা লেখার মাধ্যমে আমার সাহিত্যচর্চা শুরু হয়। কিশাের কবিতা চয়ন সংকলনে বারবার এসেছে বন-বনানী, ফসলি মাঠ, বহতা নদী, আদিগন্ত বিস্তৃত বর্ষার বিলএক কথায় বাংলার নিসর্গ। তবে কেবল নিসর্গ বিষয়ক কবিতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় এই সংকলন। এতে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, মনীষীদের জীবনকথা, পরিবেশ দূষণ, খাদ্যে ভেজাল প্রভৃতি বিষয়ও স্থান পেয়েছে। নিসর্গ ও সমাজ দুটোই গুরুত্ব পেয়েছে এই সংকলনে।