“ভাটির বাউল” বইয়ের ফ্ল্যাপ থেকে নেওয়া
কাঁচা রাস্তার এক পাশে সবজি বাগান। সেখানে দু-একজন বান্ধবীর সঙ্গে শাক তুলছেন বৈশাখী। বৈশাখীর পরনে শাড়ি। তিনি বান্ধবীদের সঙ্গে হেসে হেসে কথা বলছেন আর শাক তুলছেন। ঠিক সবজি বাগান-লাগায়াে কাঁচা রাস্তা ধরেই এগােচ্ছিলেন বাউলসাধক শাহ আবদুল করিম। তাঁর হাতে এক গাদা বই আর কাঁধে ঝুলানাে একটি একতারা। নারী কণ্ঠের হাসি শুনে করিম আড় চোখে তাকান বৈশাখীর দিকে। মুহূর্তেই মেয়েটিকে মনে ধরে যায় । করিম কিছুটা ইতস্তত করে এদিক-ওদিক তাকিয়ে বৈশাখীর দিকে দৃষ্টি দেন। এ-রকম বার-দুয়েক চলার পর হঠাৎ বৈশাখীরও চোখ পড়ে করিমের দিকে। বৈশাখীর চোখের চাহনি করিমের ভালাে লেগে যায়। করিম হা-করে তাকিয়ে থাকেন বৈশাখীর দিকে। অচেনা এক আগন্তুকের এ-রকম হাবভাব দেখে বান্ধবীরা বৈশাখীকে টিপ্পনি দেন। বৈশাখী লজ্জা পেয়ে দৌড়ে পালান। এই বৈশাখীই পরে শাহ আবদুল করিমের স্ত্রী হন। বিয়ের পর করিম ভালােবেসে বৈশাখীর নাম পাল্টে রাখেন সরলা খাতুন। ভাটির বাউল নাটকটি করিম-সরলার ভালােবাসা ও বিরহের এক অনবদ্য কড়চা।