“উলু পিশাচের আত্মা” বইয়ের পেছনের কভারে লেখা:শিলা ইজিচেয়ার থেকে ওঠার চেষ্টা করল। কিন্তু পারল না। তীব্র একটা বাতাসের ঝাপটা তাকে আবার ইজিচেয়ারের ওপর ফেলে দিলাে। আর তখনই তার চোখের সামনে ঘূণি বাতাসের মধ্যে ভেসে উঠল ভয়ংকর উলু পিশাচের আত্মার অবয়ব। শিলা কিছু বলা আগেই শূকরমুখী উলু পিশাচের আত্মা পৈশাচিক একটা হাসি দিয়ে বলল, “শিলা আমি তােকে চাই, এখন থেকে তুই আমার, শুধুই আমার, অন্য কারাে না। ‘শিলা প্রতিবাদ করলে উলু পিশাচ তার পৈশাচিক হাসিটা আরও বিস্তৃত করে বলল, “আমি একটা সন্তান চাই, বেঁচে থাকার জন্য আমার একটা সন্তান খুবই প্রয়ােজন। শিলা তুই অসাধারণ সুন্দরী, সন্তান জন্মদানের জন্য তােকে আমার পছন্দ হয়েছে। আমি চাই, তুই-ই হবি আমার সন্তানের মা। কথাটা শােনামাত্র ভয় আর আতঙ্কে শিলার সমস্ত শরীর ঠান্ডা হয়ে এলাে। নিজেকে রক্ষার জন্য শরীরের সমস্ত শক্তিতে সে চিল্কার করে উঠতে চাইল। কিন্তু পারল না, তার গলা দিয়ে কোনাে শব্দ বের হলাে না। এরই মধ্যে উলু পিশাচ ধীরে ধীরে তার শরীরে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। অসহনীয় তীব্র যন্ত্রণায় শিলার চোখ দিয়ে গলগল করে পানি বেরিয়ে আসতে লাগল। শিলা আপ্রাণ চেষ্টা করছে নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে । কিন্তু পেরে উঠছে না ভয়ংকর পিশাচটার সাথে। পিশাচটা ধীরে ধীরে যত নিষ্ঠুর হচ্ছে, শিলা শারীরিক আর মানসিকভাবে ততই দুর্বল হয়ে পড়েছে। এভাবেই ভয়ংকর উলু পিশাচের আত্মাটা ভর করতে শুরু করল শিলার শরীরে। শেষ পর্যন্ত কী ঘটেছিল শিলার জীবনে? শিলা কি পেরেছিল ভয়ংকর উলু পিশাচের আত্মার নজর থেকে নিজেকে রক্ষা করতে? ফিরে যেতে পেরেছিল তার সাজানাে-গােছানাে পূর্বের সুন্দর সুখময় ভালােবাসার সেই জীবনে।