“আমরা অমৃতসর এসে গেছি” বইয়ের সংক্ষিপ্ত লেখা:
বগিতে বেশি যাত্রী নেই। সামনের বার্থে বসে সর্দারজি তাঁর যুদ্ধের অভিজ্ঞতা শোনাচ্ছেন। যুদ্ধের সময় তিনি বার্মা ফ্রন্টে ছিলেন। তিনি গোরা সৈন্যদের নিয়ে ঠাট্টা-মশকরা করছেন এবং যখন তখন হাসিতে ফেটে পড়ছেন। একই বগিতে আমাদের পাশে তিনজন পাঠান বেপারি, তাদের একজনের চোখে সবুজ চশমা, উপরের বার্থে ঠেস দিয়ে আছেন। তিনি মিশুক ধরনের মানুষ। আমার দিকে বসা একজন শুকনো রোগা-পাতলা বাবুর সঙ্গে তিনি কৌতুক করে চলেছেন। এই চিকন ধাঁচের বাবুটিকে মনে হচ্ছে পেশোয়ারের লোক। কারণ তারা পশতু ভাষা ব্যবহার করছেন। আমার ডানদিকে এক কোণে এক বুড়ি, তার মাথা ও মুখমণ্ডল ঢাকা, তিনি জপমালায় হাত রেখে পুঁতি টানছেন আর জপছেন।
১৯৪৭-এর সেই দাঙ্গার কাহিনি ভীষ্ম সাহনিই পারেন জীবন্ত করে তুলতে, যদি তা অনূদিত হয় আন্দালিব রাশদীর হাতে। এই গ্রন্থে আরও অনূদিত হয়েছে নোবেল বিজয়ী ভি এস নাইপল ও কাজুও ইশিগুরোর গল্প, বুকার বিজয়ী হিলারি ম্যানটেল ও জোখা আল-হার্থির গল্প। এই গ্রন্থে অনূদিত গল্পগুলো হচ্ছে : আমরা অমৃতসর এসে গেছি (ভীষ্ম সাহনি), মাতৃত্ব (ভি এস নাইপল), পারিবারিক নৈশভোজ (কাজুও ইশিগুরো), বুলবুলি ও গোলাপ (অস্কার ওয়াইল্ড), যে লোকটি বিস্ময় বিক্রি করত (গজনফর আলী), শত্রæ (এ জি আতহার), এক পাঞ্জাবি যাজকের গল্প (খুশবন্ত সিং), বিবৃতি ( গোবিন্দ পাঞ্জাবি), লাভ ম্যারেজ (বংশী নির্দোষ), এক রাতের স্বর্গ (ফৈয়াজ রিফাত), সংসার (হিলারি ম্যানটেল), কারবালা বহুদূর (হামিদ সুহরাওয়ার্দি), দুসরা কাফন (শাফাক), সমুদ্র ও শব্দ (আনোয়ার খান), নোটের জন্য ভোট নয় (এ কে পদ্ম), বিয়ে (জোখা আল-হার্থি), গল্প ও জীবনের শেষাংশ (যোগীন্দর পাল)।
আন্দালিব রাশদীর পাঠক জানেন, তাঁর হাতের অনুবাদও তাঁর উপন্যাসের মতোই পাঠককে ধরে রাখে।