‘সুবর্ণরেণু সুবর্ণরেখা’ বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা
সেই আমারও যে কী হয়ে গেল, শুধু রাতটুকু পোহানোর অপেক্ষা! সকাল হলেই দৌড়ুতাম বটতলায়, আর সে তখন এনামেলের থালায় ভাত নিয়ে ঘুরে ঘুরে খেত। সাদা সাদা ভাত, বাদুড়-চামচিকের ঝোলও না, শামুক- সামখোল গেঁড়ি-গুগলিও না। দু হাত ভরতি কাচের চুড়ি বাজত—রিন্ ঠিন্! রিন্ ঠিন!! পায়ে কী ‘মল’ ছিল? ছিল, ছিল। সে যখন পায়ের মল হাতের চুড়ি বাজিয়ে ঘাগরা দুলিয়ে ঘুরে ঘুরে খেত, তখন দলের বুড়ো সর্দারটা পায়ের বুড়ো আঙুলে ‘গুলতি’র আঙটা আটকে ‘ছিলা’য় টান দিত। কারোর দিকেও না, এমনি মিছামিছি। মিছামিছি, মিছামিছি। তবু সে ভয়ে হোক নিৰ্ভয়ে হোক এঁটো হাতেই ঘাগরা গুটিয়ে এক দৌড়ে ‘সাজঘর’-এ ঢুকে পড়ত। আমি তার পুনঃপ্রবেশের অপেক্ষায় আকুল হৃদয়ে পলকহীন চেয়ে সাজঘরের দিকে তাকিয়ে থাকতাম।’