“ভাই গিরিশচন্দ্র সেন” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
ভাই গিরিশ চন্দ্র সেন (১৮৩৪-১৯১০) বাংলাদেশের অতীত সময়কালের এক গুণী মানুষ। এই ভূ-খণ্ডের উল্লেখযােগ্য এক চরিত্র। তিনি জন্মেছিলেন ইতিহাসের এমন এক পর্যায়ে যখন বাঙালি সমাজ ছিল অশিক্ষা, কুসংস্কার, কূপমণ্ডুকতা, পশ্চাৎপদতা ও ধর্মীয় গোঁড়ামিতে আচ্ছাদিত। তেমন একটি সমাজে যারা বেঁনেসা আনতে চেয়েছেন তিনি তাঁদের অন্যতম একজন। তাঁর সমগ্র জীবন এক বিচিত্র পাঠশালা। বনেদি হিন্দু পরিবারে জন্ম নিয়ে পৌত্তলিক আচার অনুসারী গোঁড়া হিন্দু বালক কিভাবে পরবর্তীতে তাঁর ধর্মে সংস্কারের কর্মসূচিতে যােগ দিলেন, নিজেকে নিবেদিত করলেন, তার জীবনী পাঠ থেকে সে কথা জানা যায়। তাঁর সে জীবন কেবল ঐ সময়ের একজন ত্যাগী আলােকিত মানুষের জীবনপ্রবাহ নয়, তার ঐ সময়ের আর্থ-সামাজিক অবস্থার এক প্রামান্য দলিলও বটে। তাকে জানলে ঐ সময়কালকেও ভালােভাবে জানা যায়।
তাই বর্তমান ও অনাগত প্রজন্মের পাঠকের কাছে তাকে ও অতীতের ঐ সময়কালকে তুলে ধরার এই প্রয়াস। লেখক সিরাজ উদ্দিন সাথী তা অনবদ্যভাবে সুবিন্যস্থ আকারে যেভাবে তা বর্ণনা করেছেন পাঠককে তা মুগ্ধ করবে নিশ্চয়ই।