“অদৃশ্যগুচ্ছ” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
আমি এইসব শব্দ আর উপমা কোথায় পাই, কীভাবে পাই, কেন পাই ? আমি জানি না ? জানি, শুধু শব্দ আর উপমারা আমার নিরস, ক্লান্ত, অবসন্ন ও ক্লেদাক্ত মনকে কেবল জাগায় না, অজানা আনন্দে ভরে দেয়। আনন্দগুলাে কন্যাসন্তানের মতাে, বাবার গলা জড়িয়ে ধরে সকালের উঠোনকে তাজা রােদ ছড়িয়ে দেয়। এখানেও লুকিয়ে আছে অসংখ্য কিউট কন্যারা, যারা এই অদৃশ্যগুচ্ছের বাসিন্দা। যারা মুখরিত করে কবিতা। যেমন— বালি-জীবন, সাইকেলের শিহরণ, গণিতের চিহ্ন, ছুরির জিহ্বা, মফস্বলের বারান্দা, আত্মহত্যার আঙুল, নদী-ঢালে নির্মিত রােদ, নালার নির্জন শরীর, রমণীয় নিঃসঙ্গতা, অভিমানের হাওয়ারা ছুটেছিল, প্রণয়ের পাত্র, অভিশাপের তুফান, গণিকা আগুন, স্রোতের স্কেল, ঘাগরার গন্ধ, লবণের বেলুন, দাবদাহের দরােজা, ভাওয়াইয়ার বিরহে পােড়ে বরেন্দ্র ভূমি, আয়নার হাতগুলাে ক্রমশ বাঁকা হতে থাকে, ঝুলন্ত বাতাসের কান, বেদুইনের মাতাল মধ্যাহ্ন, ঘােড়ার পা ডিগবাজি খায়, বুড়িগঙ্গা নিঃশ্বাস ফেলে সােয়ারিঘাটে।