বিভিন্ন উপলক্ষে রচিত ছয়টি প্রবন্ধের সংকলন হলেও বইটির মূল ভাব ভাষাপরিকল্পনা। প্রথম প্রবন্ধে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ভাষা হিসেবে বাংলা ভাষার সক্ষমতা ও অক্ষমতার বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। দ্বিতীয় প্রবন্ধে আলোচনা করা হয়েছে পাকিস্তান শাসন আমলে সেকালের বুদ্ধিজীবীদের প্রতিনিধি হিসেবে মুহম্মদ আবদুল হাই বাংলা ভাষাকে কিভাবে দেখতে চেয়েছিলেন। পৃথিবীর তাবৎ বাংলাভাষীকে অদূর ভবিষ্যতেও একটি অভিন্ন ভাষিক এককে ধরে রাখতে পরিকল্পনা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা, সে সম্পর্কিত আলোচনা রয়েছে তৃতীয় প্রবন্ধে। বাংলাদেশের শব্দভা-ার প্রমিতকরণে এবং পরিভাষা নির্মাণে হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান অনস্বীকার্য; এই আভিধানিকের অভিধান চর্চার প্রকৃতি নিয়ে রচিত হয়েছে চতুর্থ প্রবন্ধটি। ঈশ^রচন্দ্র বিদ্যাসাগর সম্পর্কে একটি অতিরঞ্জিত ধারণা হলো, তিনি বাংলা বর্ণমালার সংস্কার করেছিলেন। বাস্তবে তিনি শিশুপাঠ্য বাংলা বইয়ে বাংলা বর্ণমালাকে কিছুটা নতুনভাবে সাজিয়েছিলেন। পঞ্চম প্রবন্ধে বিষয়টি স্পষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে। সবশেষ প্রবন্ধে বর্ণিত হয়েছে বাংলা অভিধান চর্চার বিকাশের বিভিন্ন পর্যায়।