জফির সেতু শিল্পের উদ্যানে পর্যটন-প্রিয় মধুকর যেন।…জীবনের চিহ্ন খুঁজে চলেছেন অনুক্ষণ সরবতার অন্তর্বতী নৈঃশব্দ্যে। তাঁর কবিতা মানে চেতনা থেকে অবচেতনায় যাত্রা; আবার অবচেতনা থেকে চেতনায় প্রত্যাবর্তন।…
জফির যে-প্রত্নকথাশ্রয়ী মহাসময়ের দিকে সুযোগ পেলেই ফিরে তাকান, এর কারণ, তাঁরও প্রত্যয় রয়েছে মানববিশ্বের উত্থানে। মৃত্যুর গভীরে প্রবেশ করে তিনি জীবনের পথপ্রদর্শক হয়ে উঠতে চান। কবিতার শব্দপুঞ্জ সেই পথের সোপানমালা যেন।…
তবে মনে হয়, জফির কবিতা লেখেন কেননা সব জিজ্ঞাসার নিরসন হয় না। প্রশ্নমালা হয়ে ওঠে নিরবচ্ছিন্ন আর এইসব প্রশ্নের তাড়নাই তাঁর কবিতার মৌল প্রেরণা। যে-দেশে ‘তালপত্র ও অজিনে লেখা থাকে গাথা ও সংহিতা’ সেই দেশের যাত্রা ও ঋদ্ধির পথ খুঁজে চলেছেন তিনি নিরন্তর।
তপোধীর ভট্টাচার্য